শহীদ মিনারে শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সমাবেশ

‘স্বাধীনতায়, সাহসী বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ, নতুন প্রত্যয়, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশ গড়ি, মুক্তচিন্তা ও রাষ্ট্র সংস্কারের ঐক্য গড়ি’-স্লোগানে গতকাল বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘স্বাধীনতায়, সাহসী বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ, নতুন প্রত্যয়, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশ গড়ি, মুক্তচিন্তা ও রাষ্ট্র সংস্কারের ঐক্য গড়ি’-স্লোগানে গতকাল বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে শোবিজ অঙ্গনের শিল্পীরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন নির্মাতা ও প্রযোজকরাও। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী, জাকিয়া বারী মম, আজমেরী হক বাঁধন, শিহাব শাহীন, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, সাফা কবিরসহ আরো অনেকে।

সমাবেশে শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানে সবাইকে বিপ্লবী অভিনন্দন। সময়টা শুধু উদযাপনের নয়, উল্লাসের নয়; সময়টা রাষ্ট্র পুনর্গঠনের। আন্দোলনে আমরা ছাত্রদের ওপর যেমন ভরসা রেখেছি, ঠিক তেমনি রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তাদের পাশে থেকে সর্বজনের প্রতিনিধিত্বমূলক বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।

শিল্পীরা আরো বলেন, দেশের অভ্যন্তরে চলমান সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞে আমরা সর্বস্তরের শিল্পী–ও সাংস্কৃতিক কর্মী গভীরভাবে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের এ ক্রান্তিকালে সংখ্যালঘুদের ওপর যে আক্রমন চালানো হয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই। 

সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলেন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা জানবাজি রেখে রক্ষা করে যাচ্ছে দেশের সম্পদ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংকটময় সময়ে তারাই দায়িত্ব নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার,পাহারা দিয়ে যাচ্ছে মন্দির-মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার। আমরা মনে করি, অগ্নিসংযোগ, হামলা, ধ্বংস ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত একটি স্বার্থান্বেষী মহল, যারা আমাদের বিজয়ের সব অর্জন ম্লান করে দিতে চায়। সমাবেশে তাদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকতে বলা হয়। 

আরও