অভিনয় ও পরিচালনার পাশাপাশি মানবাধিকারের
জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত কণ্ঠস্বর হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। সম্প্রতি তিনি বৈশ্বিক
অবিচারের নিন্দা জানিয়েছে। সিরিয়ার সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ওয়াদ আল কাতারের
সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নিজের মতামত তুলে ধরেন ‘সল্ট’ অভিনেত্রী। খবর আনাদোলু।
জোলি জানান, এখন ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে
পক্ষপাতিত্ব করা হয়। একদল মানুষের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া হয়, অন্যদের জন্য নয়। এমনকি
জাতিসংঘে এমন পক্ষপাতিত্ব রয়েছে।
একাধিক দাতব্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত
রয়েছেন জোলি। কাজ করেছেন জাতিসংঘের সঙ্গেও। তিনি জানান, ২০ বছর আগে যখন আন্তর্জাতিকভাবে
কাজ শুরু করেন, ভেবেছিলেন যেকোনো দেশ বা জাতিকে সমান চোখে দেখা হয়। তবে পরবর্তীতে তার
এ ধারণা বদলে যায়।
‘বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমানভাবে নেই’
বলে উল্লেখ করেন তিনি। জোর দিয়ে বলেন, ‘মানবাধিকার কখনো কখনো কিছু মানুষের জন্য কাজ
করে, আবার কখনো কিছু মানুষের জন্য কাজ করে না। ’
জাতিসংঘের সাবেক শুভেচ্ছাদূত ও সাবেক
বিশেষ দূত জোলি বলেন, বাস্তবতা হলো, ব্যবসায়িক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে বিশ্ব
ব্যবস্থা। এটি একটি কুৎসিত অবস্থা।
আরো বলেন, সরকার, রাজনীতিবীদ ও সিদ্ধান্তদাতারা
বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছু পরিবর্তন হয় না।
জোলি নির্মিত চলচ্চিত্রেও মানবতার বাণী
বিশেষভাবে উঠে এসেছে। ‘ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানি’ সিনেমার এ পরিচালক বলেন,
মানুষ প্রায়শই মনে করে যে"ঔপনিবেশিকতার অবসান হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোর
নিয়ন্ত্রণ ও অপব্যবহার এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গত মাসে গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের
নিন্দা করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ‘সম্মিলিত শাস্তির’ বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানান ওই সময়।