মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘ড. নূরুন নবী: আজীবন মুক্তিযোদ্ধা’

একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, বিজ্ঞানী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবীর লেখা বই ‘বুলেট অব সেভেন্টি ওয়ান: আ ফ্রিডম ফাইটার্স স্টোরি’ অবলম্বনে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন নির্মাতা নাদিম ইকবাল।

একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, বিজ্ঞানী বীর মুক্তিযোদ্ধা . নূরুন নবীর লেখা বইবুলেট অব সেভেন্টি ওয়ান: ফ্রিডম ফাইটার্স স্টোরি অবলম্বনে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন নির্মাতা নাদিম ইকবাল। প্রামাণ্যচিত্রের নাম. নূরুন নবী: আজীবন মুক্তিযোদ্ধা বা ফ্রিডম ফাইটার ফরএভার ঘণ্টা ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে গতকাল বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে।

সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রামাণ্যচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক . আরেফিন সিদ্দিক, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি এবং সেন্টার ফর এনবিআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি এমই চৌধুরী শামীম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা সঞ্চালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজা খান রুপা।

. নূরুন নবী বলেন, ‘ফিল্মটা হতো না, যদি নাদিম ইকবালের প্রবল ইচ্ছা না থাকত। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফিল্মের উদ্দেশ্য ছিল নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানানো। আমি খুব আনন্দিত, দর্শকসারিতে এতগুলো তরুণ মুখ দেখে।

নাদিম ইকবাল বলেন, ‘সবার নিরলস পরিশ্রমে কাজটা করা। . নূরুন নবীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম আমরা প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় বলেছেন। তার ঘণ্টার সাক্ষাৎকার ঘণ্টা ৩০ মিনিটের একটা ফিল্মে নিয়ে আসা সহজ ছিল না।

১৯৭১ সালে . নূরুন নবী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বাধীন কাদেরিয়া বাহিনীতে নাম লেখান। মুক্তিযুদ্ধে তার দায়িত্ব ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করে ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ বহন করে নিয়ে আসা। তিনি যমুনা নদী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনবার নৌকায় অস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে . নূরুন নবী যমুনা নদী দিয়ে নৌকায় অস্ত্র নিয়ে আসতেন। নদীপথের সে অঞ্চলসহ (ভুঞাপুর বাহদুরাবাদ) আসামের গৌহাটি, মেঘালয়ের তুরা ট্রেনিং ক্যাম্প যেখানে ছিল, সেখানে শুটিং হয় প্রামাণ্যচিত্রটির। এছাড়া . নূরুন নবীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, টাঙ্গাইলে একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় শুটিং হয়। ভারতের ২৮ জন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে একাত্তরে যোগাযোগ বৈঠক হয় . নূরুন নবীর, তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য শহরে।

প্রামাণ্যচিত্রটিতে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ফুটেজও ব্যবহৃত হয়েছে। সেই সঙ্গে . নূরুন নবীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যারা জানেন, এমন বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার মন্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন শাহরিয়ার কবির, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কবি আসাদ চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, বেলাল বেগ, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, সাপ্তাহিক বাঙালীর সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বিশিষ্ট অভিনেত্রী আবৃত্তিকার লুৎফুন নাহার লতা প্রমুখ।

আরও