চলচ্চিত্র বিষয়ে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং চলচ্চিত্রের উন্নয়নের
স্বার্থে কাজ করার জন্য পুনর্গঠন করা হয়েছে চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
বুধবার (২ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ
তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে ২৩ জন সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সভাপতি
হিসেবে আছেন তথ্য উপদেষ্টা এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) তথ্য
মন্ত্রণালয়।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের
সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, এফডিসির ব্যবস্থাপনা
পরিচালক, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক,
সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়া এফবিসিসিআই, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতি, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, প্রদর্শক সমিতির একজন করে সদস্য থাকবে।
সদস্য হিসেবে আরো যারা থাকছেন তারা হলেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক
আরিফুর রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক তানিম নূর, বঙ্গের চিফ কনটেন্ট অফিসার
মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি, চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী,
সমালোচক ও নির্মাতা আহমেদ সালেকীন।
কমিটির কাজ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান
নীতি, আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে এসব আইন, নীতি ও বিধির পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জনের
প্রয়োজন হলে বা নতুন আইন, নীতি, বিধির প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।
প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী এ কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে। আর তাদের
কাজ হবে— চলচ্চিত্র নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে
পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালায় বর্ণিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নে করণীয়
সম্পর্কে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান।
দেশে ও বিদেশে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যাবলি অনুসরণ ও পর্যবেক্ষণ করে সেসব কার্যক্রমে অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গৃহীতব্য ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালার কোনো বিষয়ে সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান। কমিটি বছরে ন্যূনপক্ষে দুটি সভায় মিলিত হবে।