মুক্তি অনিশ্চিত ‘কাকতাড়ুয়া’র

সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের গল্প কাকতাড়ুয়া। গল্পটি অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ সিনেমা কাকতাড়ুয়া ২০১২ সালে সরকারি অনুদান পায়। এটি নির্মাণ করেন ফারুক হোসেন। কিন্তু নানা কারণে এর মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। সিনেমার কাজ এগোচ্ছেও না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অন্য অনেক সিনেমার মতো ‌কাকতাড়ুয়াও হয়তো কোনোদিন আলোর মুখ দেখবে না। এ নিয়ে পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, ‘সিনেমার

সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের গল্প কাকতাড়ুয়া। গল্পটি অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ সিনেমা কাকতাড়ুয়া ২০১২ সালে সরকারি অনুদান পায়। এটি নির্মাণ করেন ফারুক হোসেন। কিন্তু নানা কারণে এর মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। সিনেমার কাজ এগোচ্ছেও না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অন্য অনেক সিনেমার মতো ‌কাকতাড়ুয়াও হয়তো কোনোদিন আলোর মুখ দেখবে না। এ নিয়ে পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, ‘সিনেমার সেন্সর হয়নি কিন্তু প্রিন্ট হয়েছে। এফডিসির বিল ৪ লাখ টাকা। সরকারি টাকা ছাড়াও আমার ২২ লাখ টাকা এখানে খরচ। তাছাড়া রিলিজ দিতে বেশ টাকা ও সময়-সুযোগের বিষয় আছে।’ 

কিছু খরচ মওকুফ করানোর চেষ্টা করছেন পরিচালক। সিনেমা মুক্তির অন্যান্য বিষয়েও জটিলতা আছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার ব্যক্তিগত সমস্যা। এ নিয়ে ফারুক বলেন, ‘‌আমি কয়েক মাস ধরে খুবই অসুস্থ। সুস্থ হই দেখা যাক।’ 

সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী মাজেদ চৌধুরীর ছেলে মুহিত চৌধুরী। মুহিত তখন হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সিনেমাটিতে যারা অভিনয় করেছিলেন, তাদের অনেকেই বলেছেন, এ সিনেমায় কাজ করে কোনো পারিশ্রমিক পাননি। শিল্পী মুহিতের বাবা মাজেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলে মুহিতকে কোনো পারিশ্রমিক দেয়া হয়নি। যে স্বপ্ন নিয়ে আমার ছেলে অভিনয় করেছিল, তা স্বপ্নই রয়ে গেল। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে এ সিনেমা আর কোনোদিনই মুক্তি পাবে না। শুনেছি সরকারি অনুদান পাওয়ার পর অনেক সিনেমাই শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখে না। এ কথা যে আমার ছেলের সিনেমার ক্ষেত্রে সত্যি হয়ে উঠবে তা ভাবিনি কখনো।’ 

সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহনূর। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি আমার অভিনয় জীবনের অন্যতম একটি সিনেমা। এটি মুক্তি পেলে আমার অভিনয় জীবনের মাইলফলক একটি সিনেমা হয়ে থাকত।’ এতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছিলেন এসআই শহীদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে আমার কাজের জন্য যে সম্মানী দেয়ার কথা ছিল তার চার ভাগের এক ভাগ দেয়া হয়েছে।’ 

আরও