প্যারিসের মাটিতে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের দিকেই বড় এক পা বাড়িয়ে রাখল প্যারিস সেন্ট-জার্মেই। শেষ সময়ে নুনো মেন্ডেসের দুর্দান্ত ফিনিশে নিশ্চিত হয় জয়, তবে পুরো ম্যাচজুড়েই প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিল লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের শুরুর দিকে বলের দখল আর খেলার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিই ছিল পিএসজির দখলে। তবে খেলার ধারার বিপরীতে গোল দিয়ে চমকে দেয় অ্যাস্টন ভিলা। ৩৫ মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগ থেকেই এগিয়ে যায় তারা—জন ম্যাকগিন ডুয়েল থেকে বল পেয়ে দেন রাশফোর্ডকে। তার পাসে থেকে গোল করেন মর্গান রজার্স। সে সময় পর্যন্ত ভিলার বলের দখল ছিল মাত্র ২৩%, তবুও সেই একমাত্র আক্রমণ থেকেই আসে গোল।
কিন্তু পিএসজির প্রতিক্রিয়ায় ধসে পড়ে অ্যাস্টন ভিলা। মাত্র ৬ মিনিট পরই ম্যাচে সমতা ফেরান ১৯ বছর বয়সী দেজিরে দুয়ে। তার বিদ্যুৎগতির শট ক্রসবারে লেগে ঢুকে যায় জালের ভেতর। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এমি মার্টিনেজের সামনে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে স্বাগতিকরা। আর্জেন্টাইন এই বিশ্বজয়ী গোলরক্ষকই মান বাঁচিয়ে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন ভিলাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দৃশ্যপট বদলে দেয় খাভিশা কাভারাস্খেইয়া। দারুণ একক প্রচেষ্টায় ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে মার্টিনেজের কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান এই জর্জিয়ান প্লেমেকার। মার্টিনেজ ছুঁতেই পারলেন না বল, আর স্টেডিয়ামে শুরু হয় উৎসব।
ভিলার ম্যানেজার ও পিএসজির সাবেক কোচ উনাই এমেরি নিজের পুরনো ক্লাবের এই নতুন রূপ দেখে হতাশই হয়েছেন। কাভারাস্খেইয়া, ডেম্বেলে আর দুয়ে—এই ত্রয়ীর গতিময় আক্রমণে দিশেহারা ছিল ভিলার রক্ষণভাগ।
সবশেষে, ইনজুরি টাইমে বাজিমাত করেন নুনো মেন্ডেস। দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ভেতরের দিকে কাট ব্যাক করে এসে চমৎকার এক শটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন তিনি, নিশ্চিত করেন পিএসজির ৩-১ গোলের জয়। আর এতেই অ্যাস্টন ভিলার জন্য দ্বিতীয় লেগে কাজ পড়ে গেল আকাশ সমান।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক বলেন, আমরা ইতিহাস গড়তে চাই প্যারিসে। আজকের পারফরম্যান্স তারই প্রমাণ।