লা লিগার রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসে সেল্টা ভিগোকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ের পেনাল্টি থেকে রাফিনিয়ার জয়সূচক গোলে রেয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান সাত বাড়িয়ে শীর্ষে বার্সার অবস্থান মজবুত করেছে।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই ফেরান তোরেসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। কিন্তু খেলার গতি বদলে যায় তিন মিনিট পরই। গোলরক্ষক সেজনির ভুল পজিশনের সুযোগ নিয়ে বল জালে পাঠান বোরহা ইগলেসিয়াস। প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে যেন বার্সা রক্ষণে ঝড় তোলেন ইগলেসিয়াস—দুটি চোখ ধাঁধানো কাউন্টার অ্যাটাকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে বার্সাকে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে দেন।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ৭০তম মিনিটে বদলি নামা দানি ওলমো দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান কমান, আর চার মিনিট পরই রাফিনিয়ার গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। এরপর শুরু হয় সেল্টার রক্ষণ যুদ্ধ, যা তারা প্রায় সফলভাবেই টেনে নিয়েছিল অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত।
তবে ম্যাচের নাটকীয় পরিণতি আসে ৯৮তম মিনিটে। দানি ওলমোর ওপর ফাউল নিয়ে ভিএআরের দীর্ঘ পর্যালোচনার পর পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে রাফিনিয়া লক্ষ্যভেদ করলে উল্লাসে ফেটে পড়ে বার্সা।
‘এটাই ফুটবল,’ ম্যাচ শেষে বলেন ওলমো। ‘সবসময় আমরা সেরা ছিলাম না, কিন্তু দলটা কখনো হাল ছাড়েনি। সমর্থকরাও আমাদের শেষ পর্যন্ত উজ্জীবিত রেখেছে।‘
সেলটার খেলোয়াড় পাবলো দুরান হতাশ হলেও গর্বিত—‘অনেক কিছু ঠিক করেছি আমরা। ওরা দারুণ দল, বিশেষ করে আক্রমণে। কিন্তু আমরা নিজেদের ফুটবল খেলেছি, সাহস দেখিয়েছি। ফলটা যেভাবে এলো, তাতে কষ্ট হচ্ছে।‘
তবে এই জয়েও কিছুটা শঙ্কা রয়ে গেছে বার্সা শিবিরে। ম্যাচের শেষদিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রবার্ট লেভানডোভস্কি। চলতি মৌসুমে ৪০ গোল করা পোলিশ স্ট্রাইকারের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি তাকে হয়তো আগামী সপ্তাহের কোপা দেল রে ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠের বাইরে রাখতে পারে।
বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেন, ‘লেভানডোভস্কির কাল এমআরআই হবে। তখনই বুঝতে পারবো কতটা গুরুতর তার ইনজুরি।‘
এদিকে, রোববার রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হয়ে রেয়াল মাদ্রিদ বার্সার পয়েন্ট ব্যবধান চারে নামানোর সুযোগ পাবে।