থাইল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে চোখ ছিল বাংলাদেশের। লাহোরে আজ থাইল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া ১৬৭ রানের টার্গেটটা ১০.১ ওভারে ছুঁয়ে ফেলতে পারলেই বিশ্বকাপে উঠে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও কাছাকাছি গিয়েও পারেনি ক্যারিবীয় নারীরা। তারা ১০.৫ ওভারে জয় তুলে নিলে রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ উঠে যায় বিশ্বকাপে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাম লেখাল বাংলাদেশ। তারা ২০২২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলেছে।
সামান্যতম ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচে দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট। বাংলাদেশের রানরেট +০.৬৩৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের +০.৬২৬। ক্যারিবীয়রা ১০.১ ওভারের মধ্যে জিততে পারলেই রানরেটে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে সমর্থ হতো। তখন তারাই অষ্টম দল হিসেবে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতো।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ শনিবার স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। লাহোরে এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয়া বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৭৮ রান তুলতে সমর্থ হয়। এ রান তাড়া করে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ উত্তরণ। নিগার সুলতানার দল তাকিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলের দিকে।
৬ দলের বাছাইপর্ব থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডকে হারিয়ে স্বাগতিক দলের মেয়েরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার আনন্দ উদযাপন করে। বাকি এক টিকিটের জন্য বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে লড়াই চলছিল। বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় সুযোগ টিকে থাকে ক্যারিবীয়দের। নিট রানরেট এখানে ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে ছিল বাংলাদেশ (+৬৩৯)। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ (–০.২৮৩)।