পাকিস্তান সিরিজেই আলাদাভাবে চোখে পড়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং।
এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে পেলেন দারুণ এক অর্ধশতক।
৭১
রান করে আউট হলেও শান্তর ব্যাটিং ছিল বেশ আত্মবিশ্বাসী।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানালেন, উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
তবে ইনিংসটা আরো বড় করতে পারলে ভালো লাগত তার।
পাশাপাশি নিজের ব্যাটিংয়ের উন্নতির রহস্যও ফাঁস করেছেন তিনি।
মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ইনিংস বড় করার সুযোগ ছিল কিনা জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই
সুযোগ তো ছিলই, উইকেট যেহেতু ভালো ছিল।
আমি মনে করি যতটুকু ব্যাটিং করেছি আউটটা ছাড়া ভালো করেছি।
কিন্তু যে রকম উইকেট ছিল, যেভাবে শুরু করেছিলাম, আরো বড় করা উচিত ছিল।’ ব্যাটিং নিয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা ড্রেসিং রুম থেকে? শান্তর উত্তর, ‘অবশ্যই
ব্যাটিং নিয়ে মিটিং হয়েছে।
ব্যাটিং নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।
আমরা প্রথম চিন্তা করেছিলাম উইকেটটা বুঝব আগে।
সেটা কেমন আচরণ করে, সে অনুযায়ী খেলব।
এরপর দেখা গেছে উইকেটটা ভালো, তাই সেভাবে খেলেছি।’ দ্বিতীয় দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থায় আছে বাংলাদেশ।
এখান থেকে কত রানের লিড প্রত্যাশা? এ প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আসলে
এটা বলা কঠিন।
কারণ কাল আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
আমাদের মুমিনুল ভাই ও মুশফিক ভাই ব্যাটিং করছেন।
দুজনই খুবই ভালো করছেন।
আমার মনে হয়, তারা দুজন ইনিংস যত লম্বা করতে পারবেন, সেটাই আমাদের জন্য লাভজনক হবে।’
পরিপক্বতা এসেছে ব্যাটিংয়ে, ছিলেনও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।
কীভাবে এসেছে এ পরিবর্তন জানতে চাইলে এ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমার
যেটা মনে হয়েছে গত কয়েক মাসে, মানসিকতা খুব ভালোভাবে বদলেছে।
নিজের প্রতি বিশ্বাসটা আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে।
স্কিলেও উন্নতি হয়েছে আগের চেয়ে বেশি হয়েছে।
আগে আমার মনে হতো, আমি একটু তাড়াহুড়ো করতাম।
এখন শুরুটা দেখেশুনে বলের মেরিট অনুযায়ী করছি।’
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলেন, ‘বোলিংয়ের
দিক থেকে আমরা হতাশ।
আমরা সঠিক জায়গায় টানা বল করতে পারিনি।
আগামীকাল (আজ) আমাদের লক্ষ্য থাকবে মুশফিক ও মুমিনুলের জুটি ভাঙা।
কারণ ওরা লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে।
এ
জুটি আমরা দ্রুত ভাঙতে চাই।’