প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ

হার শেষে বাংলাদেশ দলনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো সূচনা পাইনি। টি-টোয়েন্টির প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যদিও

আগের ১৪ ম্যাচের মুখোমুখিতে ভারত জিতেছে ১৩টি, বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি। দুই দলের শক্তির তফাতটা আরেকবার ফুটে উঠল প্রকটভাবে। গোয়ালিয়রে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাও ৪৯ বল হাতে রেখে জিতেছে স্বাগতিকরা!

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভার খেলতেই পারেনি। আর ভারতীয়রা জয় তুলে নেয় ১২ ওভারের মধ্যে!

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ১২৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে অভিষেক শর্মা (৭ বলে ১৬) হন রানআউট। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে জাকের আলীর ক্যাচ বানিয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে (১৪ বলে ২৯) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন (৮০/৩)।

এরপর ভারতের আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি হার্দিক পান্ডিয়া (১৬ বলে ৩৯*) ও নিতিশ কুমার (১৫ বলে ১৬*)। মাত্র ২৪ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভারতের কর্তৃত্বপূর্ণ জয় নিশ্চিত করেন এ দুজন।

এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অল্পতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলতে পেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। লিটন দাস ৪ রানে ও পারভেজ হোসেন ইমন ৮ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাওহীদ হৃদয় (১২) ও মাহমুদউল্লাহ (১) আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে সফরকারীরা। জাকের আলী দুর্দান্ত এক ছক্কায় ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ৮ রানে বিদায় ঘটে তার।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিল ৬৪/৫। এরপর শেষ ১০ ওভারে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান করে অতিথিরা! শান্ত ২৫ বলে ২৭ রান করে আউট হওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াইয়ে (৩২ বলে ৩৫) ১২৭ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। অর্শদীপ সিং ও বরুণ চক্রবর্তী উভয়ই তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন হার্দিয়া, মায়াঙ্ক যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর।

হার শেষে বাংলাদেশ দলনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো সূচনা পাইনি। টি-টোয়েন্টির প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যদিও আমরা ভালো করিনি। পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা, যদিও কিছু ওভার আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। উইকেট হাতে থাকলে হয়তো আরো ১০-১৫ রান বেশি করতে পারতাম। বোলিংয়ের কথা বললে বোর্ডে আমরা যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি, তাই এমন পিচে বোলারদের কাজটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। পরের ম্যাচে আরো ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে আমাদের।’

বুধবার দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ২০১৯ সালে দিল্লিতে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, যেটি দুই দলের ১৫ ম্যাচের দ্বৈরথে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১২৭/১০ (মিরাজ ৩৫*, শান্ত ২৭; অর্শদীপ ৩/১৪, বরুণ ৩/৩১)। ভারত: ১১.৫ ওভারে ১৩২/৩ (হার্দিক ৩৯*, স্যামসন ২৯, সূর্যকুমার ২৯, নিতিশ ১৬*; মিরাজ ১/৭, মুস্তাফিজ ১/৩৬)। ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: অর্শদীপ সিং (ভারত)। সিরিজ: ভারত ১-০-তে এগিয়ে।

আরও