বোনাস পয়েন্ট ঠেকাতে ইনিংস ঘোষণা!

আইনের দিক থেকে মোটেই অন্যায় নয়। অধিনায়ক চাইলে যেকোনো সময় ইনিংস ঘোষণা করতে পারেন। তবে বিসিএলে ইনিংস ঘোষণা করে এখন আলোচনার কেন্দ্রে দক্ষিণাঞ্চল। প্রশ্ন একটাই, ক্রিকেটীয় স্পিরিট রক্ষা হলো তো? তবে তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, এ কৌশল শেষ পর্যন্ত কাজে লাগবে তো? কারণ এ ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হারলে ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ না-ও হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের।

আইনের দিক থেকে মোটেই অন্যায় নয়। অধিনায়ক চাইলে যেকোনো সময় ইনিংস ঘোষণা করতে পারেন। তবে বিসিএলে ইনিংস ঘোষণা করে এখন আলোচনার কেন্দ্রে দক্ষিণাঞ্চল। প্রশ্ন একটাই, ক্রিকেটীয় স্পিরিট রক্ষা হলো তো? তবে তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, এ কৌশল শেষ পর্যন্ত কাজে লাগবে তো? কারণ এ ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হারলে ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ না-ও হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের।

কক্সবাজারে মধ্যাঞ্চলকে ২৩৫ রানে অলআউট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। দলের স্কোর যখন ২৮.২ ওভারে ১১৪/৪, তখনই হঠা করে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। বিসিএলের নিয়ম অনুযায়ী কোনো দল যদি ১০০ ওভারের মাঝে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিতে পারে, তবে  বোনাস পাবে ০.৫ পয়েন্ট। ৭ উইকেট নিলে পাবে পূর্ণ ১ পয়েন্ট। আবার ৯ কিংবা তার বেশি উইকেট নিতে পারলে জুটবে ১.৫ পয়েন্ট। প্রতিপক্ষের বোনাস আটকাতেই এ ঝুঁকিটা নেয় দক্ষিণাঞ্চল। ১২১ রানে পিছিয়ে থাকা দলটির হাতে তখনো ৬ উইকেট। তবে পরিস্থিতি জটিল হয় দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাঞ্চল ব্যাটিংয়ে নামার পর। ৬ উইকেট হারালেও তারা তুলে নেয় ২০৯ রান। দলটির লিড ৩৩০ রানের। ১২২ রান নিয়ে অপরাজিত নাজমুল হাসান শান্ত। এখনো পুরো দুদিনের খেলা বাকি। এ অবস্থায় ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের জেতার সম্ভাবনা যথেষ্টই। অন্য ম্যাচে পূর্বাঞ্চল জিতলে বাদ পড়ে যাবে দক্ষিণাঞ্চল। তখন স্পিরিটের পাশাপাশি ফাইনালও হাতছাড়া হবে দলটির।

এর আগে ২ উইকেটে ২৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। দলীয় ৪২ রানে ফিরে যান এনামুল হক বিজয় (২০)। শামসুর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান মিলে চেষ্টা করেছিলেন দলকে পথে রাখতে। কিন্তু ২৫ রান করা শামসুরকে ফিরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলকে চাপে ফেলে দেন শুভাগত হোম। তখন দলের রান ১১৪। এর পরই ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। জবাব দিতে নেমে মধ্যাঞ্চলও ভালো শুরু করতে পারেনি। ২১ রানের মধ্যে তারা ২ উইকেট হারায়। তবে শান্ত ও রাকিবুল হাসান মিলে দলকে নিয়ে যান ১৩২ রানে। ৩৯ রান করে ফিরে যান রাকিবুল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে মধ্যাঞ্চল উইকেট হারালেও ১২২ রানে অপরাজিত থেকে যান শান্ত। দলকেও এনে দেন বড় লিড।

আরেক ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের ২৭২ রানের জবাবটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছে পূর্বাঞ্চল। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬১ রান। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে এখন দলটি পিছিয়ে আছে ১১ রানে। ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন ইয়াসির আলী।

প্রথম দিনের শেষ বেলায় ৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল পূর্বাঞ্চল। এরপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ২৭ রানে তারা হারায় তৃতীয় উইকেটটিও। তবে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ইয়াসির। দলীয় ১৬৪ রানে ভাঙে এ জুটি। ৭৬ রান করে ফিরে যান ইমরুল। এরপর উইকেট পতন অব্যাহত থাকলেও দারুণ এক সেঞ্চুরিতে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন ইয়াসির। ২৭১ বলে ১৩ চার ও২ ছক্কায় তিনি করেন ১৩৪ রান। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার সানজামুল ইসলাম।

আরও