নবম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে তিন ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি। অবশ্য তাদের শেষ ম্যাচটি খেলার আগেই বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বৃষ্টির কল্যাণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই পেয়েছে এক পয়েন্ট। নিট রানরেটের বিচারে পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশের নিট রানরেট (-০.৪৪৩), পাকিস্তানের (-১.০৮৭)। এ সুবাদে কোনো ম্যাচ না জিতে টাইগারদের সাত নম্বর স্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে। এতেই প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল!
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মোট প্রাইজমানি ৬৯ লাখ ডলার, যা ২০১৭ সংস্করণের তুলনায় ৫৩% বেশি। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, রানার্সআপ দল পাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয়া দুই দল ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে পাবে।
যে সব দল সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকবে, তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে। পাশাপাশি প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দল পাচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার।
প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ায় পাকিস্তান মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা) পাবে, যা তাদের অংশগ্রহণ ও গ্রুপ পর্বের শেষ স্থান অর্জনের পুরস্কার। টুর্নামেন্টের পঞ্চম ও ছয় নম্বর দল পুরস্কার হিসেবে পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। পাকিস্তান নিচে থাকায় টাইগারদের সাত নম্বর স্থান এখন নিশ্চিত। যদি তারা আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে থেকেই শেষ করে, তাহলে তারা মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা) পাবে।
আর যদি পাঁচ বা ছয় নম্বরে শেষ করে, তাহলে বাংলাদেশের প্রাইজমানি বেড়ে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার (৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা) হবে। আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইংল্যান্ড হেরে গেলেই বাংলাদেশ ছয় নম্বর স্থান পাবে। সেক্ষেত্রে শান্তদের ৫ কোটি ৭৭ লাখ ডলার প্রাইজমানি হাতছানি দিচ্ছে!