চ্যাম্পিয়নস লিগ

রাফিনিয়ার জাদু ও শেজনির 'দায়মুক্তির' রাতে ১০ জনের বার্সার জয়

৬১তম মিনিটে বেনফিকার এক রক্ষণাত্মক ভুলের সুযোগ নিয়ে ডিবক্সের বেশ কিছুটা বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন রাফিনিয়া, যা ছিল তার মৌসুমের ২৫তম গোল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ম গোল।

একজন কম নিয়েও দারুণ লড়াই করে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে বেনফিকার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। আর সেই জয়ের নায়ক আবারো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। তবে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে আসবে গোলবারের নিচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়া শেজনির নাম। নইলে ইউরোপের অন্যতম কঠিন ভেন্যু হিসেবে পরিচিত বেনফিকার মাঠ এস্তাদিও দো স্পোর্ত লিসবোয়া থেকে যে ১০ জনের দল হয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

দারুণ ফর্ম নিয়ে এসেছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। ফেভারিটও ছিল কিউলরাই। তবে ম্যাচের শুরুতেই সমস্যায় পড়তে হয় বার্সাকে। ২২তম মিনিটে দলের সেরা ডিফেন্ডার পাউ কুবারসি বেনফিকার স্ট্রাইকার ভ্যাঙ্গেলিস পাভলিদিসকে ফাউল করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এরপর ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বার্সাকে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রায় ৭০ মিনিট ১০ জনের দল হয়ে খেলে জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলেরই।

৬১তম মিনিটে বেনফিকার এক রক্ষণাত্মক ভুলের সুযোগ নিয়ে ডিবক্সের বেশ কিছুটা বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন রাফিনিয়া, যা ছিল তার মৌসুমের ২৫তম গোল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ম গোল। জানুয়ারিতে গ্রুপপর্বে যখন দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, তখনও ৯৬তম মিনিটে গোল করে বার্সাকে রক্ষা করেছিলেন রাফিনিয়া। এবারও তিনিই বার্সার ত্রাতা।

৮২তম মিনিটে মনে হয়েছিল বেনফিকা পেনাল্টি পাবে। কারণ বার্সার গোলরক্ষক ভইচেক শেজনি, আন্দ্রেয়া বেলোত্তিকে ফাউল করেছিলেন। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।

স্বস্তির সঙ্গে হয়তো হান্সি ফ্লিকের আস্থায় ফিরে পেলেন শেজনি। ছবি: সংগৃহীত

এই জয়ের ফলে ১১ মার্চ বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যুতে দ্বিতীয় লেগের আগে স্বস্তি নিয়ে ফিরছে দলটি। স্বস্তি ফিরেছে শেজনিরও। জানুয়ারির গ্রুপপর্বের যে ম্যাচের কথা হলো রাফিনিয়ার বীরত্ব প্রসঙ্গে, সেখানে ভুলে যাওয়ার মতো এক রাত কাটিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার ছিলেন দুর্দান্ত।

ম্যাচের শুরুতেই বেনফিকার কেরেম আকতুরকোগলুর এক জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে শেজনি আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করে বেনফিকাকে হতাশ করেন। ম্যাচের শেষ দিকে একের পর এক কর্নার পেলেও গোলের দেখা পায়নি বেনফিকা। শেষ মুহূর্তে রেনাতো সানচেজের শটও ঠেকিয়ে দেন শেজনি। জানুয়ারির বিপর্যয়ের পর এবার তিনি অনেকটা একাই বাঁচিয়েছেন বার্সাকে।

বেনফিকা পুরো ম্যাচে ১৫টি শট নেয়, যার মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল। কিন্তু বার্সার মাত্র দ্বিতীয়ার্ধের একমাত্র অন-টার্গেট শটেই গোল পেয়ে যান রাফিনিয়া।

এই জয়ের ফলে বার্সার অপরাজিত থাকার রেকর্ড বেড়ে হলো ১৬ ম্যাচ। এখন তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামবে।

আরও