ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক কিচ হেজি

অস্বচ্ছ ও অনৈতিক আচরণের কারণেই বরখাস্ত হন ওপেনএআই প্রধান

নতুন বইয়ে ২০২৩ সালে স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে বরখাস্ত করার পেছনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

অস্বচ্ছ ও অনৈতিক আচরণের কারণেই ২০২৩ সালে স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে বরখাস্ত হন বলে মনে করেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক কিচ হেজি। সম্প্রতি তার লেখা ‘দ্য অপটিমিস্ট: স্যাম অল্টম্যান, ওপেনএআই, অ্যান্ড দ্য রেস টু ইনভেন্ট দ্য ফিউচার’ শিরোনামে একটি বইয়ে তিনি বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেন। খবর টেকক্রাঞ্চ।

বইটিতে দাবি করা হয়েছে, অল্টম্যানের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি ওপেনএআই স্টার্টআপ ফান্ডসহ কিছু বিষয়ে জানার পর বোর্ড সদস্যরা ক্রমে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। একই সময়ে প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলিয়া সুটস্কেভার ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি অল্টম্যানের অস্বচ্ছ ও অনৈতিক আচরণের প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করেন। এসব প্রমাণের মধ্যে মুরাতির স্ল্যাক চ্যানেলের স্ক্রিনশটও ছিল।

অল্টম্যানের একটি দাবি নিয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। তিনি বলেছিলেন, কোম্পানির আইন বিভাগ জানিয়েছে যে জিপিটি-৪ টার্বোকে যৌথ নিরাপত্তা বোর্ডের মাধ্যমে পর্যালোচনা করার প্রয়োজন নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ আইনজীবী এটি অস্বীকার করেন। সুটস্কেভার বোর্ড সদস্যদের কাছে প্রমাণগুলো পেশ করার পর অল্টম্যানকে বরখাস্ত করে মুরাতিকে অন্তর্বর্তী সিইও হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নাটকীয়ভাবে পুরো বিষয় পাল্টে যায়। ওপেনএআইয়ের কর্মীরা অল্টম্যানের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে একটি চিঠিতে সই করেন। কর্মীদের মধ্যে সুটস্কেভার ও মুরাতিও সই করেছিলেন। এ চাপের ফলে অল্টম্যানকে দ্রুত সিইও হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়। এরপর সুটস্কেভার ও মুরাতি ওপেনএআই ছেড়ে তাদের নিজস্ব স্টার্টআপ শুরু করেন।

অল্টম্যানের বরখাস্ত ও দ্রুত পুনর্বহাল প্রমাণ করে যে কর্মীদের সমর্থন ও অভ্যন্তরীণ বিরোধ বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে। ই-কমার্স অ্যামাজনের তথ্যমতে, বর্তমানে বইটির প্রি-অর্ডার চলছে। আগামী ২৫ মে বইটি প্রকাশ হবে।

আরও