যুক্তরাষ্ট্রে শর্টভিডিও অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে সমর্থন কমছে। দেশটির পাঁচ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ এখন অ্যাপটি বন্ধ করার পক্ষে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের এক জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। ২০২৩ সালে একই জরিপে সমর্থনের হার ছিল ৫০ শতাংশ। খবর টেকক্রাঞ্চ।
পিউ রিসার্চের প্রতিবেদন বলছে, আমেরিকানদের একটি বড় অংশ এখন টিকটক নিষিদ্ধের বিরোধিতা করছে। ২০২৩ সালে ২২ শতাংশ মানুষ টিকটক নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় সে সংখ্যা বেড়ে ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে। এ প্রবণতা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সমানভাবে দেখা গেছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে রিপাবলিকান ও রিপাবলিকানপন্থী ভোটারদের মধ্যে টিকটক নিষিদ্ধের সমর্থন ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটদের মধ্যে সমর্থন ৪৩ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।
জরিপে আরো দেখা গেছে, যারা টিকটক ব্যবহার করে না, তারা এর ব্যবহারকারীদের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি নিষিদ্ধের পক্ষে। যেখানে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১২ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছেন, সেখানে টিকটক ব্যবহার না করা ৪৫ শতাংশ মানুষ নিষিদ্ধের পক্ষে ছিল।
প্রতিবেদন বলছে, যদিও চীনা অ্যাপটি নিষিদ্ধের আইনের জনপ্রিয়তা কমছে, তবু যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটে দুই দলের সমর্থন নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছর এপ্রিলে টিকটক নিষিদ্ধের আইন স্বাক্ষর করেন। কারণ ছিল, চীনের সম্ভাব্য নজরদারি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ। আইন অনুযায়ী, টিকটকের মালিক বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অ্যাপটি একটি মার্কিন কোম্পানিকে বিক্রি করার জন্য সময় দেয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময়সীমা কাছাকাছি আসার পর যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন টিকটক অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১২ ঘণ্টা ব্লক থাকার পর অ্যাপটি আবার চালু হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাইটড্যান্সের বিক্রয় সময়সীমা আরো তিন মাস বাড়িয়ে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করেন। ওরাকল, মাইক্রোসফট ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো আমেরিকান কোম্পানিগুলো টিকটক কেনার আগ্রহ দেখানোর গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু বাইটড্যান্স এখনো বিক্রির কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি।