স্মার্টওয়াচ বা ইয়ারবাডসের মতো পরিধেয় গ্যাজেট হিসেবে স্মার্ট রিং অতটা জনপ্রিয় নাও মনে হতে পারে। কারণ ২০১৫ সালে আউরা রিংয়ের মধ্য দিয়ে গ্যাজেটটি আলোচনায় আসতে শুরু করে। আকারে ছোট হলেও বেশ কাজের এটি। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা স্মার্ট রিং ব্যবহার করেন। পাশাপাশি স্লিম ডিজাইনের জন্য ফ্যাশন সচেতনরাও ব্যবহার করেন। তাই স্মার্ট রিং কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়া জরুরি।
পরিধেয় গ্যাজেটের ব্যবহার: পরিধেয় গ্যাজেট ব্যবহারে অভ্যস্ততার ওপর নির্ভর করতে পারে স্মার্ট রিংয়ের আলাদাভাবে প্রয়োজন রয়েছে কিনা। কারণ স্মার্ট রিং থেকে যেসব ফিচার পাওয়া যায়, সেগুলো স্মার্টওয়াচ থেকেই পাওয়া যায়। কেউ যদি ভালো মানের স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করে তাহলে স্মার্ট রিংয়ের প্রয়োজন নেই। তবে স্যামসাং চেষ্টা করছে এমন এক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে, যেখানে সমন্বয়ের ভিত্তিতে দুটি গ্যাজেট একসঙ্গে কাজ করবে। অন্যদিকে ফর্মাল ইভেন্টে স্মার্টওয়াচের মতো তুলনামূলক আকারে বড় ডিভাইস অনেকে নাও পছন্দ করতে পারে। এক্ষেত্রে স্মার্ট রিং বেশ মানানসই।
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ: দৈনন্দিন কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করতে পারে স্মার্ট রিং ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। স্মার্ট রিং সাধারণত অন্যান্য আংটির তুলনায় কিছুটা মোটা। একটানা ব্যবহার করলে অস্বস্তিকর অনুভূতি দিতে পারে। তাছাড়া আগে থেকে আংটি পরার অভ্যাস না থাকলেও ঘটতে পারে বিপত্তি। পাশাপাশি কাজে নিয়ম করে হাত ব্যবহার করতে হচ্ছে বা গ্লাভস পরতে হয়, এমন কাজে স্মার্ট রিং অসুবিধার কারণ হতে পারে। আর আঙুলের উপযুক্ত মাপে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ডাটা: স্মার্ট রিং স্বাস্থ্যবিষয়ক ডাটার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। অনবরত হৃদস্পন্দন ও শরীরের তাপমাত্রা মাপতে পারে এটি। পাশাপাশি মেটাবলিক তথ্য সংগ্রহ করে সংযুক্ত স্মার্টফোন অ্যাপে পাঠিয়ে দেয়, যা ঘুম ও ব্যায়াম পর্যবেক্ষণে জরুরি। ঘুমের ক্ষেত্রে স্মার্ট রিং ‘স্প্লিপ স্কোর’ তৈরি করে, যার মাধ্যমে জানা যায় ঘুম কেমন হলো। সব মিলিয়ে ব্র্যান্ডভেদে একেক ধরনের স্বাস্থ্যবিষয়ক ডাটা দিয়ে থাকে স্মার্ট রিংগুলো। প্রয়োজন অনুসারে বেছে নেয়া যেতে পারে পরিধেয় এ গ্যাজেট।
ব্যাটারি ব্যাকআপ: আকারে ছোট ও স্মার্টওয়াচের চেয়ে কম ফিচারযুক্ত হওয়ায় ব্যাটারি ব্যাকআপের ক্ষেত্রে ভুল ধারণা জন্মাতে পারে। মনে হতে পারে খুব একটা ব্যাটারি খরচ হয়তো হবে না। কিন্তু স্মার্ট রিং আঙুলে পরে থাকলে ব্যাটারি খরচ হতে থাকে। এজন্য প্রয়োজন না হলে খুলে রাখা যেতে পারে অথবা চার্জিংয়ে দেয়া যেতে পারে।
অন্যান্য সুবিধা: ব্র্যান্ডভেদে স্মার্ট রিংগুলো জেসচার কনট্রোল ফিচার দিয়ে থাকে। যেগুলো স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকা অবস্থায় স্মার্ট রিংয়ে দুবার টাচ করলে ছবি উঠবে। এজন্য স্মার্ট রিং কেনার আগে ব্র্যান্ডগুলো কী ফিচার দিচ্ছে তা দেখা যেতে পারে।
সাবস্ক্রিপশন: আউরা রিংয়ের মতো কিছু স্মার্ট রিংয়ের সব ফিচার ব্যবহার করতে মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশনের দরকার হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন ঠিক কতটুকু তা জেনে সাবস্ক্রিপশনের আদৌ দরকার আছে কিনা তা ভেবে দেখা যেতে পারে।
স্ল্যাশগিয়ার অবলম্বনে