ওপেনএআই তাদের নতুন ইমেজ জেনারেটর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্টুডিও ঘিবলির শৈলীতে তৈরি ছবি ও ভিডিওর বন্যা দেখা গেছে। ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয় অ্যানিমেশন স্টাইল নকল করে চমৎকার সব কনটেন্ট তৈরি করছেন। কিন্তু এর মধ্যেই কপিরাইট লঙ্ঘন ও এআই-প্রশিক্ষণের নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
গত মঙ্গলবার মুক্তি পাওয়া জিপিটি-৪ মডেলটি আরো ভালো টেক্সট তৈরি করতে পারে। এছাড়া কঠিন নির্দেশও আগের চেয়ে সহজে বুঝতে পারে। এটি বিভিন্ন অ্যানিমেশন শৈলীতে প্রশিক্ষিত হওয়ায় ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারছেন।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। স্টুডিও ঘিবলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি বরাবরই এআই থেকে তৈরি শিল্পের বিপক্ষে। তিনি বলেছেন, ‘এটি শিল্পের প্রতি অবমাননা। আমি কখনোই শিল্পের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাই না।’
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিল্পের অনুকরণ কপিরাইট লঙ্ঘন নয়। তবে নির্দিষ্ট কাজের উপাদান হুবহু নকল করা আইনি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
যদিও স্টুডিও ঘিবলি এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে অনেক শিল্পীরাই উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সৃজনশীল শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
এ বিতর্ক নতুন নয়। তবে ওপেনএআইয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এটিকে আরো তীব্র করে তুলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত ধরে সৃজনশীলতা কি নতুন দিগন্তে পা রাখছে, নাকি এটি শিল্পীদের জন্য নতুন সংকটের কারণ হবে— তা নিয়ে আলোচনা আরো দীর্ঘ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
—সিএনএন