নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত হওয়ার আগে কিছু টিপস

ইন্টারনেট দুনিয়ায় অসংখ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রয়েছে। নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিচারে ওয়েবসাইটগুলো ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

ইন্টারনেট দুনিয়ায় অসংখ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রয়েছে। নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিচারে ওয়েবসাইটগুলো ভিন্ন অভিজ্ঞতা। সুতরাং নতুন প্লাটফর্মে সাইনআপ করার আগে নিজেকেই প্রশ্ন করা যেতে পারে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা। মেকইউজঅবের প্রতিবেদনে নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইনআপের আগে ছয়টি বিবেচ্য বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাইভেসি ও ডাটা: প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিজস্ব কিছু প্রাইভেসি ও ডাটা পলিসি রয়েছে। যেখানে ব্যবহারকারীদের কীভাবে সুরক্ষা দেয়া হয় এবং তাদের ডাটা কীভাবে ব্যবহার করা হয় তা উল্লেখ থাকে। বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সাধারণ কিছু তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে সরবরাহ করে থাকে। এদিক থেকে সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপকে যথেষ্ট নিরাপদ মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য নতুন কোনো সাইটে প্রবেশের আগে এ দুই বিষয় বিবেচনায় নেয়া জরুরি।

ব্যবহারকারীর আগ্রহ: টিকটক সংক্ষিপ্ত ভিডিও আর ইউটিউব দীর্ঘ ভিডিওর জন্য জনপ্রিয়। অন্যদিকে ফেসবুক বা এক্স ছবি, ভিডিওর পাশাপাশি লেখা পোস্টের জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ইনস্টাগ্রাম মূলত ছবি ও রিল শেয়ারের জন্য ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ব্যবহারকারী নিজেদের আগ্রহের ভিত্তিতে ভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে।

মনোযোগে ব্যাঘাত: জরুরি কাজের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে এটিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। তবে সেটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ভিত্তিতে হেরফের হতে পারে। যদি এমন হয় যে নতুন কোনো প্লাটফর্মে সাইনআপের কারণে মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টের হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাহলে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

অডিয়েন্স: ভিন্ন প্লাটফর্মের ভিন্ন অডিয়েন্স রয়েছে। ফেসবুক সাধারণত কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম তুলনামূলক কম বয়সীরা ব্যবহার করে বেশি। অন্যদিকে লিংকডইনে পেশাদার মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা যায়। সব মিলিয়ে প্লাটফর্মের অডিয়েন্স কেমন তা বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা শ্রেয়।

অ্যাপ ফিচার: যেকোনো মাধ্যমের অ্যাপ কতটা ইউজার ফ্রেন্ডলি তার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারী ঠিক কতটা সময় আগ্রহ ধরে রাখবে। এর জন্য অ্যাপগুলো কী ধরনের ফিচার অফার করছে তা যাচাই করতে হবে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম উভয় মাধ্যমে স্টোরি দেয়া যায় বা দেখা যায়। কিন্তু তাদের স্টোরির ফিচার অনন্য। এজন্য নতুন কোনো মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি নামিয়ে ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে।

প্লাটফর্মের ভবিষ্যৎ: নতুন কোনো প্লাটফর্মে সাইনআপ করার পর তা যদি দীর্ঘদিন সচল না থাকে তাহলে কোনো একটি বিষয়ে অভ্যস্ত হওয়া সময়ের অপচয়। এক্ষেত্রে মাধ্যমটি কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে কিনা তা যাচাই করা যেতে পারে।

আরও