অপ্রয়োজনীয় ডিজিটাল ফাইলে বাড়ছে বোঝা, খরচ হচ্ছে হাজারো ডলার

সমাধান নিয়মিত ‘ক্লিনিং ডে’

আজকের যুগে যেখানে ক্লাউড স্টোরেজ এক ক্লিকেই সহজলভ্য এবং স্ক্রিনশট ও ফাইল প্রতিনিয়ত জমতে থাকে, সেখানে বেশির ভাগ মানুষই ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জঞ্জালের ভারে চাপা পড়ে আছে।

আজকের যুগে যেখানে ক্লাউড স্টোরেজ এক ক্লিকেই সহজলভ্য এবং স্ক্রিনশট ও ফাইল প্রতিনিয়ত জমতে থাকে, সেখানে বেশির ভাগ মানুষই ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জঞ্জালের ভারে চাপা পড়ে আছে। সম্প্রতি কমপাস ডাটাসেন্টারস পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে, অংশগ্রহণকারী ৭৭ শতাংশ আমেরিকানের কাছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি অপ্রয়োজনীয় ডিজিটাল ফাইল জমে রয়েছে। খবর টেকরাডার।

গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিচালিত এ জরিপে ১ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এতে দেখা যায়, ‘ডিজিটাল হোর্ডিং’ বা অপ্রয়োজনীয় ডিজিটাল ফাইল জমিয়ে রাখার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী শুধু বিপুল পরিমাণ অব্যবহৃত ফাইলের ভারে ন্যুব্জই নন, এসব ডিজিটাল জঞ্জাল সামলানোর প্রক্রিয়া নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভোগেন।

প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত ডিজিটাল ডাটা ডিভাইসের গতি কমিয়ে দেয়, ব্যাটারির আয়ু হ্রাস করে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে পেতে বাধা তৈরি করে। এসব বিষয় অনেকেরই অবগত থাকা সত্ত্বেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রবণতা এখনো খুবই কম। ডিজিটাল স্টোরেজের খরচ বাড়তে থাকলেও অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলার ব্যাপারে মানুষের অনীহা থেকে যাচ্ছে আগের মতোই।

জরিপে দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফাইল গোছানোর চেয়ে জমিয়ে রাখার প্রবণতাই বেশি লক্ষণীয়। যদি ২৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে ২০ ডলার করে ক্লাউড স্টোরেজের জন্য ব্যয় করেন এবং তা ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত চালিয়ে যান, তবে ৩ শতাংশ বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী তিনি জীবদ্দশায় প্রায় ৪০ হাজার ডলার শুধু ডিজিটাল ডাটা জমিয়ে রাখার পেছনেই খরচ করবেন।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, ডিজিটাল হোর্ডিংয়ের খরচ কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়। প্রথমে ছবি সংরক্ষণাগার (ফটো লাইব্রেরি) থেকে অস্পষ্ট ছবি, ডুপ্লিকেট ইমেজ ও পুরনো স্ক্রিনশট মুছে ফেলা। এরপর নজর দেয়া যায় অ্যাপগুলোর দিকে। যেসব অ্যাপ মাসের পর মাস খোলা হয়নি, সেগুলো আনইনস্টল করাই ভালো। এছাড়া ডাউনলোড ফোল্ডার ও ই-মেইল ইনবক্সও পর্যালোচনা করা জরুরি। বিশেষ করে গুরুত্ব দিতে হবে বড় সাইজের অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইল ও অপ্রয়োজনীয় ফাইলের ওপর।

এছাড়া বছরে অন্তত দুবার ‘ডিজিটাল ক্লিনিং ডে’ নির্ধারণ করে নেয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও