ফেসবুক

জনপ্রিয়তার বিপরীতে ডাটা কেলেঙ্কারি ও বিতর্কের এক দশক

গত এক দশকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের জনপ্রিয়তা নিঃসন্দেহে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এ জনপ্রিয়তা নিষ্কণ্টক নয়। গত এক দশকে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার দেখা পেয়েছে কোম্পানিটি। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে হয়েছে সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে তদন্তের মুখে পড়েছে ফেসবুক।

গত এক দশকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের জনপ্রিয়তা নিঃসন্দেহে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জনপ্রিয়তা নিষ্কণ্টক নয়। গত এক দশকে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার দেখা পেয়েছে কোম্পানিটি। নিয়ে বিশ্বজুড়ে হয়েছে সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে তদন্তের মুখে পড়েছে ফেসবুক।

১৫ বছর আগে আত্মপ্রকাশ করে ফেসবুক। বর্তমানে প্রতি মাসে ২৪৫ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকার পাশাপাশি গত এক দশকে ডাউনলোড হওয়া শীর্ষ চারটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপের গর্বিত মালিক ফেসবুক। আবার এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হওয়া রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। এমনকি ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির আগে থেকেই সমস্যা ছিল ফেসবুকের, তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।

২০১০ সালের এপ্রিলে ওপেন গ্রাফ প্লাটফর্ম চালু করে ফেসবুক। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম, যেখানে বহিরাগত ডেভেলপারদের ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়ার অনুরোধ অনুমোদন করা হয়। এসব তথ্যের মধ্যে ব্যবহারকারীর নাম, লিঙ্গ, অবস্থান, জন্মদিন শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত। নীতিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বিবেচনা করেন অনেকেই।

একই বছরের অক্টোবরে ফেসবুকের বেশকিছু জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহারকারীসহ তাদের বন্ধুদের নামের মতো শনাক্তকারী তথ্য বিজ্ঞাপন ইন্টারনেট ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলোর কাছে হস্তান্তর করছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক।

২০১১ সালের জুনে এসে নিজেদের ফেসিয়াল রিগনিশন (চেহারা পরিচিতি) ফিচার ট্যাগ সাজেশন চালু করে ফেসবুক। ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ছবিতে বন্ধুদের চিহ্নিত করতে পারে। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ফেসবুকের নতুন ফিচারটিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা-বিষয়ক কোনো বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল।

নভেম্বরে এসে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন একটি বিস্তৃত নিষ্পত্তির ঘোষণা দেয়। যেখানে বলা হয়, ফেসবুক আগামী ২০ বছর ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা-সংক্রান্ত নির্দেশ অনুসরণ করবে। মূলত ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর অনুমোদন ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার পর নির্দেশ জারি করা হয়।

২০১২ সালে কোম্পানির আইপিও প্রসপেক্টাসে ফেসবুক নিজেদের ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিয়ে ভবিষ্যতে সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানায়। এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের কার্যক্রম, সফটওয়্যার বাগ বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য (ব্যবহারকারীর) তথ্য সুরক্ষার্থে গৃহীত প্রচেষ্টাগুলো ব্যর্থ হতে পারে বলেও কোম্পানিটি অগ্রিম জানিয়ে দেয়। তবে বলা হয়, ধরনের সমস্যা এড়াতে কিংবা ন্যূনতম মাত্রায় রাখতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রাফ সার্চ ফিচার চালু করে ফেসবুক। অন্য ব্যক্তি, ছবি ব্যবহারকারীর পছন্দ বা নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের সঙ্গে মিলে যাওয়া স্থানগুলো খুঁজে পেতে সহায়তা করে ফিচারটি। ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ ফিচারটি গোপনীয়তা সংবেদনশীল বলে দাবি করেন। ফিচারটিতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এরই মধ্যে যা যা শেয়ার করা

আরও