ফেনী

টেবিলে বসে তৈরি হয় কাল্পনিক প্রতিবেদন

ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে আনতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।

ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে আনতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। সংগৃহীত তথ্যের আলোকে সর্বশেষ জেলা প্রশাসন থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানসহ ১৪টি খাতে ২ হাজর ৩৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ক্ষয়ক্ষতির এ প্রতিবেদনটি সঠিক নয় দাবি করেছে বন্যাদুর্গতরা।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, সরকারি অফিসের লোকজন এলাকা পরিদর্শন না করে টেবিলে বসে কাল্পনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলে প্রকৃত হিসাব উঠে আসত। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র সরকারি প্রতিবেদনে উল্লিখিত টাকার অংকের দ্বিগুণ বা আরো বেশি হতে পারে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সাংবাদিকদের হাতে যে তালিকা দেয়া হয়েছে সেটি ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছকের আলোকে করা হয়েছে। এখানে সব খাতের ক্ষতির তথ্য নেই। ওই ছকে শুধু ১৪টি খাতের ক্ষতির তথ্য চাওয়া হয়। এর বাইরে আরো অনেক খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলোর প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

আরও