মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম

ত্বক ভাল রাখতে যেমন নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন, তেমনই দরকার বাড়তি যত্ন। ত্বকের বাড়তি যত্নেই ব্যবহার করা হয় মাস্ক।

মাস্ক কী?

মাস্ক বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়। আবার ঘরোয়াভাবেও তা তৈরি করা যায়। তবে ত্বকের ধরন এবং সমস্যা অনুযায়ী তা বেছে নিতে হবে। যেমন- ব্রণ হলে এক রকম মাস্ক আবার শুষ্ক ত্বকের জন্য এক রকম।

তবে যে মাস্কই বেছে নিন না কেন, তা ব্যবহারেরও পদ্ধতি রয়েছে। তাতে ভুল হলে, অধরা থেকে যেতে পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যলাভ।

ক্লিনজিং এবং এক্সফোলিয়েশন

মাস্ক ব্যবহারের আগে কিন্তু ত্বকের প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ময়লা মুখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই শুরুটা করতে হবে ক্লিনজিং মাধ্যমে। মাস্ক ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে। সে জন্য প্রয়োজন উন্মুক্ত রন্ধ্রের। এই কাজটি হয় এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে। ত্বকের উপরভাগে জমে থাকা ময়লা, তেল, মৃত কোষ, যা ক্লিনজিং এ পরিষ্কার হয় না তা পরিষ্কারে স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হবে। ভেজা মুখে স্ক্রাবার মুখে লাগিয়ে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে গোল ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে হালকা গরম পানির সাহায্যে।

ফেস মাস্ক

মাস্ক তৈরির পর মুখে ভাল করে মেখে নিন। হাত দিয়ে মাখতে হলে, অবশ্যই হাত পরিষ্কার থাকা দরকার। এছাড়া চোখের চারপাশের ত্বক স্পর্শকাতর হয়। তাই চোখ এবং ঠোঁট বাদ দিয়ে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

কতক্ষণ রাখবেন

এক একজনের ত্বক এক এক রকম। এ ছাড়া পরিবেশের ওপরেও নির্ভর করে মাস্কটি কতক্ষণে শুকোবে। সাধারণত ১০-১৫ মিনিট মাস্ক ত্বকে রাখতে বলা হয়। মোটামুটি যতক্ষণ না এটি হালকা ভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ রাখতে পারেন।

মাস্ক তোলার পদ্ধতি

মাস্ক ত্বকের সঙ্গে বেশ শক্ত হয়ে লেগে যায়। প্রথমে অল্প গরম পানির ঝাপটা দিন মুখে, ঘাড়ে এবং গলায়। তার পর আঙুলের সাহায্যে গোলাকারে হালকা ভাবে ঘষতে থাকুন। এতে মাস্ক নরম হয়ে যাবে। তার পর জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে জল মুছে নিন।

ময়েশ্চারাইজার

মাস্ক ব্যবহারের পর ত্বকের ধরন অনুযায়ী সিরাম বা ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

আরও