টিনেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাদের হেয়ারকে আরো স্টাইলিশ করে তুলতে বিভিন্ন কালার শেড যেমন ক্যারামেল, ব্লন্ড, ব্রাউন, অম্ব্রেসহ বিভিন্ন ফাংকি কালার যেমন, লাল, নীল ইত্যাদি বেছে নিচ্ছেন। তবে চুলে রঙ করার অর্থই হলো নানা ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার। এতে দেখতে ভালো লাগলেও চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই চুল রঙ করার পর চুলের যত্ন নেয়া অবশ্যই জরুরি। নাহলে চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া, দুর্বল হয়ে যাওয়াসহ দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা।
কী করবেন-
১.প্রতিদিন চুল ধোয়া বন্ধ করতে হবে। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই দিতে হবে হেয়ার মাস্ক। সপ্তাহে অন্তত দুবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
২.চুল ভালো রাখতে তেলের বিকল্প নেই। তবে চুল এবং স্ক্যাল্পের ধরন বুঝে তেল ব্যবহার করতে হবে।
৩. রঙ করার পর চুল নষ্ট হতে শুরু করে। কখনো কখনো আবার রুক্ষও হয়ে যায়। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে তেলের ভূমিকা অনেক।
৪. হেয়ার স্ট্রেটনার, হেয়ার ড্রায়ারের মতো হিটিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। এতে রঙ করার পরবর্তী সময়ে চুল রুক্ষ হতে শুরু করে।
৫. নির্দিষ্ট সময় পর পর চুল কাটতে হবে। কারণ চুল রঙ করলে তা রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের নিচের অংশ ফাটতে শুরু করে। তাই চুল ট্রিম করা প্রয়োজন।
৬. চুলে স্থায়ী রং করার আগে ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত। কেননা অনেক সময় নির্দিষ্ট রংটির প্রতি ভালো লাগা উঠেও যেতে পারে। এ জন্য চুল রঙিন করতে প্রথমে অস্থায়ী উপায়টি বেছে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের।
৭. যত্রতত্র বা নিজে নিজে চুলে রং না করাই ভালো।
৮. রঙিন চুলে রোদ না লাগানোই ভালো। তাই বাইরে গেলে ঢেকে রাখতে হবে বা টুপি পরিধান করতে হবে। মাসে একবার পার্লারে গিয়ে রঙিন চুলের ট্রিটমেন্ট করাতে পারলে দীর্ঘদিন রং ও চুল সুন্দর থাকে।