মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: বাইডেন

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, তিনি মনে করেন না যে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই মন্তব্য করেন বাইডেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হলেও পরিস্থিতি সামলাতে আরো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন,মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে এটা আমি মনে করি না। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ মন্তব্য করেন বাইডেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হলেও পরিস্থিতি সামলাতে আরো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য  জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ এড়ানোর সাম্ভাব্যতা সম্পর্কে তিনি নিশ্তি কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আপনি কতটা নিশ্চিত যে বৃষ্টি হবে না? দেখুন, আমি মনে করি না সর্বাত্মক যুদ্ধ হবে। আমি মনে করি, আমরা এটি এড়াতে পারি।

তবে তিনি আরো বলেন, কিন্তু এখনো  অনেক কিছু করতে হবে, অনেক কিছু।

যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি ইসরায়েলকে সহযোগিতা করার জন্য মার্কিন সেনা পাঠাবেন কিনা তখন  বাইডেন উত্তর দেন, আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছি। আমরা ইসরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিত করব।

ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বে রক্তপাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। ওই সময় ইসরায়েলে হামাসের এক হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে ৪১ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গাজার প্রায় সব মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে ইসরায়েল তা অস্বীকার করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণে শত শত মানুষ নিহত, হাজার হাজার আহত এবং দশ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের নিশানা করছে। এর পর ইরান তেল আবিবে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ইসরায়েলকে পাল্টা জবাব দিয়েছে।

এ সমস্ত হামলা ও পাল্টা হামলাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয়ার কথা ভাবছে তেল আবিব। 

আরও