দাবানল প্রশমন হলেও বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বেশকিছু এলাকায় প্রায় এক সপ্তাহের বৃষ্টি দাবানল প্রশমনে বেশ সহায়তা করেছে। একইভাবে সিডনি ও আশপাশের শহরতলি এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরাঞ্চলেও গতকাল বহু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে এসব এলাকার খরা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বন্যার। পাশাপাশি ধেয়ে আসছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। খবর এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমস।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বেশকিছু এলাকায় প্রায় এক সপ্তাহের বৃষ্টি দাবানল প্রশমনে বেশ সহায়তা করেছে। একইভাবে সিডনি ও আশপাশের শহরতলি এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরাঞ্চলেও গতকাল বহু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে এসব এলাকার খরা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বন্যার। পাশাপাশি ধেয়ে আসছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। খবর এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমস।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে বাণিজ্যিক ফ্লাইট। ডেমিয়েন নামে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলীয় অন্তত চারটি প্রধান বন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার দ্য স্টেট ব্যুরো অব মেটেরোলজির সূত্রে জানা যায়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়টি গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ক্যাটাগরি ওয়ান ঝড় হিসেবে আবির্ভূত হয়। এরপর সেটি শক্তি ও গতি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ক্যাটাগরি ফোর হিসেবে ঝড়টির স্থানীয় সময় শনিবার সকালে স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্টেট ব্যুরো অব মেটেরোলজির ফোরকাস্টার ব্র্যাড হল বলেন, ঝড়টি হারিকেনের মতো শক্তিশালী বাতাস ও মারাত্মক সামুদ্রিক ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

কিছু প্রতিবেদন বলছে, ২০১৩ সালের পর ডেমিয়েন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বছরের এ সময়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রায়ই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়। তবে এ মৌসুমের অন্য দুটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ব্লেক ক্যাটাগরি ওয়ানের বেশি মারাত্মক হয়নি। আর ঘূর্ণিঝড় ক্লডিয়া ক্যাটাগরি থ্রি পর্যন্ত পৌঁছলেও তীরে আঘাত হানতে পারেনি।

এদিকে স্থানীয় সময় শুক্রবার ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়। গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এ দাবানলে পুড়ে গেছে এক কোটি হেক্টর এলাকা, মারা গেছে ৩৩ জন মানুষ এবং প্রায় শতকোটি বণ্যপ্রাণী। ধ্বংস হয়ে যায় আড়াই হাজারের বেশি বাড়িঘর।

নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রামীণ দমকল বাহিনীর প্রধান শেন ফিটজসিমনস বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত দাবানলের মেরুদণ্ড যে ভেঙে দিচ্ছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মূলত বৃষ্টির কারণে গতকাল বিকাল নাগাদ নিউ সাউথ ওয়েলসের কোনো এলাকায় আরজ্বলন্ত দাবানল অবশিষ্ট ছিল না।

তবে এ খুশির খবরের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছে বন্যার শঙ্কা। এরই মধ্যে দ্য ব্যুরো অব মেটেরোলজি বন্যাবিষয়ক বেশকিছু সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিউ সাউথ ওয়েলসে এবার গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ফিটজসিমনস বলেন, বন্যায় নতুন করে বড় ধরনের ক্ষতি হোক, তা আমরা চাই না। তবে এ সময় এমন বৃষ্টিকে স্বাগত না জানিয়ে উপায় নেই।

আরও