ট্রাম্পকে গ্রিনল্যান্ডের স্পষ্ট বার্তা

‘না, আমরা তোমাকে আমন্ত্রণ জানাইনি’

ট্রাম্প দাবি করেছেন, গ্রিনল্যান্ডের কর্মকর্তারাই ওয়াশিংটনকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেছে।

কিন্তু গ্রিনল্যান্ড সরকার এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্পের এই দাবি মোটেও সত্য নয়। পোস্টে বলা হয়েছে, রেকর্ডের জন্য বলছি, গ্রিনল্যান্ড সরকার কোনো ধরনের আমন্ত্রণ জানায়নি— না ব্যক্তিগত, না সরকারি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করে গ্রিনল্যান্ডের সরকার সোমবার (২৪ মার্চ) জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলকে এই সপ্তাহে আমন্ত্রণ জানায়নি। খবর পলিটিকো।

আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইটের সঙ্গে ডেনমার্কের অধীনস্থ এই অঞ্চল সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী উশা ভ্যান্স। কিন্তু এই সফর নিয়ে গ্রিনল্যান্ডের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

গ্রিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মুটে বি. এগেদে এই সফরকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আক্রমণাত্মক’ প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি কোনো সাধারণ সফর নয়। এটি আমাদের ওপর শক্তি প্রদর্শনের একটি পদক্ষেপ।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, গ্রিনল্যান্ডের কর্মকর্তারাই ওয়াশিংটনকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেছে। তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ডের লোকেরা আমাদের সেখানে যেতে বলেছে।

কিন্তু গ্রিনল্যান্ড সরকার এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্পের এই দাবি মোটেও সত্য নয়। পোস্টে বলা হয়েছে, রেকর্ডের জন্য বলছি, গ্রিনল্যান্ড সরকার কোনো ধরনের আমন্ত্রণ জানায়নি— না ব্যক্তিগত, না সরকারি।

গ্রিনল্যান্ডের সংসদ সদস্য পিপালুক লিঞ্জে পলিটিকোকে বলেছেন, ট্রাম্পের দাবি মিথ্যা এবং ভ্যান্সের সফরের প্রতিবাদে নতুন বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে।

ট্রাম্প ২০১৯ সালে তার প্রথম দফায় গ্রিনল্যান্ড কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার ক্ষমতায় ফিরে এই চাওয়াকে ‘অত্যন্ত প্রয়োজনীয়’ বলে দাবি করেছেন এবং সামরিক বা অর্থনৈতিক চাপে দ্বীপটি দখল করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।

জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র দ্বীপটি সফর করে মার্কিন দখলের পক্ষে সমর্থন তৈরির চেষ্টা করেন, যা স্থানীয় নেতারা ‘নাটকীয় রাজনৈতিক স্টান্ট’ বলে উড়িয়ে দেন।

গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক উভয়ই ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। জনমত জরিপ বলছে, গ্রিনল্যান্ডবাসীর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না, বরং স্বাধীনতাকেই অগ্রাধিকার দেয়।

আর্কটিক অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থান ও মূল্যবান খনিজ সম্পদের বিশাল ভাণ্ডারের কারণে গ্রিনল্যান্ড এখন বৈশ্বিক রাজনীতিতে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

আরও