পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনার ঠিক আগমুহূর্তে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। খবর আল জাজিরা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও প্রেরণা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ পোষণ করি। তবুও আগামীকালের আলোচনায় অংশ নেব।‘
শনিবার তিনি ওমানের মধ্যস্থতায় রোমে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে নতুন দফা আলোচনায় যোগ দেবেন। তিনি আরো বলেন, ‘ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।‘
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ জানান, ইরানের দৃষ্টিকোণে যদি তা সহায়ক হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণযোগ্য মনে করে তবে আলোচনায় সহায়ক ভূমিকা রাখতে রাশিয়া প্রস্তুত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ইরান ধীরে ধীরে তার পারমাণবিক কর্মসূচির সীমাবদ্ধতা তুলে নেয়। বর্তমানে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা অস্ত্র নির্মাণের কাছাকাছি (৯০ শতাংশ)।
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আলোচনার বিষয়বস্তু নয়। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড জানিয়েছে, সামরিক সক্ষমতা ও আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হবে না। ইরানের আঞ্চলিক নীতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে আলোচনার ‘রেড লাইন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে মার্কিন আহ্বানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি জানিয়ে দেন, এটি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত নয়। ‘যদি অপরপক্ষও একই ধরনের সদিচ্ছা দেখায় এবং অযৌক্তিক ও অবাস্তব দাবি থেকে বিরত থাকে, তবে চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব,’ বলেন আরাগচি।