রাশিয়ার অধিকৃত কুরস্ক অঞ্চলে আকস্মিক সফর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বুধবার (১২ মার্চ) হলো এই সফর। খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে মস্কো সফর করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। খবর সিএনএন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পুতিন সেনা ইউনিফর্মে কুরস্কে একটি সামরিক কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। এসময় তিনি ফ্রন্টলাইন সৈন্যদের বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুরস্ককে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করা মস্কোর লক্ষ্য। গত বছরের আগস্টে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় সেনারা। সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় রাশিয়ার এই প্রদেশটিতে গত কয়েকমাস ধরে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। কুরস্কের কিছু এলাকা এরইমধ্যে দখল করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। এই পরিস্থিতিতে রুশ সেনাদের মনোবল বাড়াতেই অঞ্চলটি সফর করলেন পুতিন।
কুরস্কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে শীর্ষ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ ও স্টাফ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেসময় এ অঞ্চলে অবশিষ্ট ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বের করে দেয়ার জন্য সেনাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরির সম্ভাবনাও তুলে ধরেছেন পুতিন।
কুরস্কে আটক ভাড়াটে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত বলেও জানান পুতিন। রুশ বাহিনীর কাছে আটক ইউক্রেনীয় বাহিনীর সেনাদের মধ্যে যারা ইউক্রেনের নাগরিক, বন্দি বিনিময়ের সময় শুধু তাদেরই মুক্তি দেয়া হবে। যতদিন তারা বন্দি থাকবে ততদিন রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে প্রাপ্য সব আইনি সুরক্ষা পাবে। কারাগার বা বন্দিশালায় তাদের ওপর নির্যাতন করা হবে না বলেও জানান পুতিন। তবে যারা ভাড়াটে সৈন্য বা ইউক্রেনের নাগরিক নয়, রাশিয়ার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় যেভাবে সন্ত্রাসীর বিচার করা হয় তাদেরও সেভাবে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।