জাতিসংঘ

দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে গাজার ৪০ শতাংশ মানুষ

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ জানায়, গাজা বিপর্যয়কর ক্ষুধায় ভুগছে এবং প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ জানায়, গাজা বিপর্যয়কর ক্ষুধায় ভুগছে এবং প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর আনাদোলু।

‘মানুষ ক্ষুধার্ত ও খাদ্যের জন্য মরিয়া’ উল্লেখ করে গাজার ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালক টমাস হোয়াইট বলেন, ‘জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।’

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে তিনি বলেন, নিয়মিত আরো সরবরাহ প্রয়োজন। উত্তর গাজাসহ সব এলাকায় আমাদের নিরাপদ ও স্থায়ী মানবিক প্রবেশাধিকার দরকার।

ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ছিটমহলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজরিনি বলেছেন, অর্থপূর্ণ, বাধাহীন ও নিঃশর্ত মানবিক সহায়তা ও বাণিজ্যিক প্রবাহ দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ করতে পারে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৬২৭ হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ হাজার ১৬৫ জন। গতকাল শনিবার অবরুদ্ধ ছিটমহলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪টি গণহত্যার ঘটনায় ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন ও ২৫০ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার শিকার প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী।

এদিকে তেল আবিবের দাবি ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

আরও