মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এর আকার ও পরিসর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। এতে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার নতুন শুল্ক ঘোষণা করবেন ট্রাম্প এবং তিনি সেদিনকে ‘লিবারেশন ডে’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। খবর রয়টার্স।
ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার আগে প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাল্টা শুল্ক নিয়েও উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারের তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। অন্য দেশগুলোর প্রতি আমেরিকার বাণিজ্য অসমতা সমাধান করতে লিবারেশন ডে শুল্কের প্রয়োজনীয়রা আছে বলে মনে করছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ট্রাম্প বুধবার শুল্ক ঘোষণা করার পর তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। ট্রাম্প সোমবার রাতে বলেছেন, তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, শুল্কগুলো অন্য দেশের তুলনায় কম হবে, এবং বিশ্বের প্রতি তাদের একটি দায়িত্ব আছে।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাম্প সিনেটে রিপাবলিকানদের ফেন্টানিল সম্পর্কিত জরুরি অবস্থা আইন বাতিলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা হতে পারে। ট্রাম্প আমেরিকার নির্মাণ শিল্প পুনরুদ্ধারের জন্য এই শুল্ক আরোপ করতে চাচ্ছেন।
এই শুল্ক ঘোষণা ঘিরে কানাডা এবং মেক্সিকোও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তারা রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম বলেছেন, তারা কোনো ‘চোখের বদলে চোখ’ নীতি অনুসরণ করবেন না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, তারা এমন শুল্ক আরোপ করবেন যা আমেরিকাকে বেশি প্রভাবিত করবে।
এতকিছুর মধ্যেও যদি শুল্ক আরোপ হয় তাহলে তা আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ দেশ তিনটি ইউএসএমসিএ (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি) চুক্তিতে আবদ্ধ।