শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ের পাঁচ মাস পর
১০ বছরের সাজা পেলেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। সরকার বিরোধী
আন্দোলনে অর্থায়নসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। খবর বিবিসি।
গতকাল শুক্রবার (৩ মার্চ) বেলারুশের আদালত
বিয়ালিয়াৎস্কিকে কারাদণ্ড দেয়। এই রায়ের নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সারা বিশ্বের
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
নির্বাসিত বেলারুশিয়ান বিরোধীদলীয় নেতা
সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়া এ রায়কে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। বরাবরই শক্ত হাতে বিরোধীদের দমন
করে এসেছেন। ৬০ বছর বয়সী বিয়ালিয়াৎস্কি বরাবরই লুকাশেঙ্কোর কট্টর সমালোচক।
২০২০ সালে বেলারুশের নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক
বিক্ষোভের পর ২০২১ সালে গ্রেফতার হন বিয়ালিয়াৎস্কি। তারপর থেকে তিনি জেলে। গতকাল রাজধানীর
মিনস্কের আদালতে তাকে ১০ বছরের সাজা দেয়। পরে হাতকড়া পরিয়ে জেলে নেয়া হয়। তবে বিয়ালিয়াৎস্কি
আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এর আগে ২০১১ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে বিয়ালিয়াৎস্কিকে
সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রায় তিনবছর জেলে থাকার পর ২০১৪ সালে সাধারণ ক্ষমার
আওতায় মুক্তি পান।
২০২২ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মানবাধিকার
কর্মীদের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি।