বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা অভিবাসীদের আশ্রয়ের অধিকার সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে পোল্যান্ড। পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা স্বাক্ষর করার পর আইনটি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। এই আইন অনুযায়ী, অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া ব্যক্তিদের আশ্রয়ের আবেদন করার অধিকার ৬০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। খবর বিবিসি।
সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে মুহূর্তকাল বিলম্ব ছাড়াই আইনটি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন টাস্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে রাশিয়া এবং তার মিত্র বেলারুশ মিলে ইউরোপীয় সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পোল্যান্ডসহ ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ।
তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আইনটির সমালোচনা করছে। তারা বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে ইইউর পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। গত মাসে হিউম্যান রিাইটস ওয়াচের ইউরোপ ও মধ্যএশিয়া বিষয়ক সিনিয়র গবেষক লিডিয়া গল বলেছেন, বর্তমানে ইইউ প্রেসিডেন্সি দেশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পোল্যান্ডের উচিত যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয় চাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা। বিতর্কিত বিলটির ক্ষেত্রে পোল্যান্ডের উচিত আন্তর্জাতিক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাধ্যবাধকতা মেনে চলা এবং এটি বাতিল করা।
তবে এসব সমালোচনা আমলে নিচ্ছেন না পোলিশ প্রধানমন্ত্রী। এই স্থগিতাদেশ কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই সাময়িকভাবে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ সাল থেকে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং ফিনল্যান্ডে বেলারুশ এবং রাশিয়া থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পোলিশ কর্তৃপক্ষ বেলারুশের সঙ্গে তাদের সীমান্তে নজরদারি করার জন্য হাজার হাজার সেনা এবং সীমান্তরক্ষী পাঠিয়েছে এবং সীমান্তের ১৮৬ কিলোমিটার বরাবর ৫ দশমিক ৫ মিটার উঁচু ইস্পাতের বেড়া তৈরি করেছে।