যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অর্থহীন’ আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের

আরাগচি বলেন, আপনি যদি আলোচনা চান, তাহলে হুমকির প্রয়োজন কী? তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকারের আলোচনা চায়, তাহলে উভয়পক্ষের জন্য সমান মর্যাদায় বসতে হবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনাকে ‘অর্থহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও আলোচনার আহ্বানের দ্বৈত আচরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। খবর আল জাজিরা।

গত মাসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। তবে এর পরেই ট্রাম্প হুমকি দেন, চুক্তি না হলে বোমাবর্ষণ হবে।

এর জবাবে আরাগচি বলেন, আপনি যদি আলোচনা চান, তাহলে হুমকির প্রয়োজন কী? তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকারের আলোচনা চায়, তাহলে উভয়পক্ষের জন্য সমান মর্যাদায় বসতে হবে।

২০১৮ সালে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ইরান ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ) বাতিল করেন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান বর্তমানে একাধিক পারমাণবিক বোমা তৈরির মতো ফিসাইল উপাদান জমা করে ফেলেছে।

তবে ইরান বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের একটি গোপন পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়।

ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান হোসেইন সালামি শনিবার বলেন, আমরা যুদ্ধ শুরু করব না, তবে যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছি।

গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের আঞ্চলিক অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়েছে। ইসরায়েল লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতাদের একের পর এক হত্যা করেছে এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকেও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

ইরান জানিয়েছে, তারা এখনো পরোক্ষ কূটনীতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মধ্যে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা তারা দেখছে না।

আরও