কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির সাসেক্স উপকূলে অবস্থিত র্যাম্পিয়ন অফশোর উইন্ডফার্ম সম্প্রসারণ প্রকল্পের অনুমোদন করেছে সরকার। সম্প্রসারণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফার্মে যোগ করা হবে আরও ৯০টি টারবাইন। যার মাধ্যমে চলতি দশকের মধ্যে আরো ১০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর শুরু হবে র্যাম্পিয়ন ২ নামের এ প্রকল্পের কাজ। যা ব্রিটিশ বিদ্যুৎ খাতে যোগ করবে ১ দশমিক ২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। র্যাম্পিয়নে ৯০টি টারবাইন যুক্ত করার পরিকল্পনা নির্মাণ খাতে ৪ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং ১০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। র্যাম্পিয়ন ২-এর অনুমোদন সরকারের নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে সমর্থন এবং ব্রিটেনের ক্লিন এনার্জি লক্ষ্য পূরণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
র্যাম্পিয়ন ২-এর প্রকল্প নেতা উমাইর প্যাটেল জানিয়েছেন, এই বায়ু খামার সমগ্র সাসেক্সের বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ উৎপাদন করতে পারবে এবং নির্মাণ ও পরিচালনার সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ১৮ লাখ ব্রিটিশ পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর তা বাস্তবায়নে অনুমোদন করেছে পর্যাপ্ত নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প। এই অনুমোদনগুলো দেশের জ্বালানি নেটওয়ার্ককে আরো পরিবেশবান্ধব এবং জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সাহায্য করবে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ জ্বালানি মন্ত্রী এস মিলিব্যান্ড বলেন, যুক্তরাজ্যের বাতাসে অফুরন্ত শক্তি রয়েছে। যা কারো শাসনে চালু বা বন্ধ হয় না। এটিকে কাজে লাগাতে পারলে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে আমরা শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখতে পারব। এটি একদিকে যেমন পরিবেশের জন্য ভালো, তেমনি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ওপর ৯৫ শতাংশ নির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে ব্রিটেন। সেসময় বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাস প্ল্যান্টগুলোর মাধ্যমে হবে, এবং বাকি অংশ আসবে ক্লিন এনার্জি যেমন বায়ু, সৌর, এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস থেকে। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিদ্যুৎ কর্মসূচিতে দশকের শেষ নাগাদ উপকূলীয় বায়ু দ্বিগুণ, সৌরশক্তি তিনগুণ এবং অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ ক্ষমতা চারগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।