ট্রাম্পের নতুন শুল্ক: এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে

বিশ্ববিখ্যাত রেটিং সংস্থা ফিচ রেটিংস-এর মার্কিন অর্থনীতি গবেষণা প্রধান অলু সোনোলা বলেছেন, এটি শুধু মার্কিন অর্থনীতির জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও একটি বড় পরিবর্তন। অনেক দেশ মন্দার সম্মুখীন হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর গতকাল বুধবার (২ মার্চ) বিকালে নতুন করে ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এ শুল্ক ঘোষণার মূল বিষয়গুলো বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এক নজরে দেখে নেয়া যাক—

ট্রাম্প শুল্কের ক্ষেত্রে ১০% বেসলাইন নির্ধারণ করেছেন, অর্থাৎ সর্বনিম্ন শুল্ক হবে ১০ শতাংশ। তবে যেসব দেশকে তার প্রশাসনের দৃষ্টিতে ‘সবচেয়ে খারাপ অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে শুল্কের হার আরো বেশি হবে।

  • মোট ১০০টি দেশ এই নতুন শুল্কের আওতায় পড়বে, যার মধ্যে ৬০টি দেশ উচ্চহারের শুল্কের সম্মুখীন হবে।
  • যুক্তরাজ্যের জন্য শুল্ক নির্ধারিত হয়েছে ১০% এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জন্য ২০%।
  • যেসব দেশের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— চীন (৩৪%), ভিয়েতনাম (৪৬%), থাইল্যান্ড (৩৬%), কম্বোডিয়া (৪৯%) ও জাপান (২৪%)।
  • এছাড়া, বিদেশে তৈরি সব ধরনের গাড়ির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে।
  • ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।

ট্রাম্প বলেছেন, এই শুল্ক নীতি আমেরিকানদের ‘প্রতারিত হওয়া’ থেকে রক্ষা করবে, জাতীয় ঋণ কমাতে সাহায্য করবে এবং দেশটির উৎপাদন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করবে।

বিশ্ববিখ্যাত রেটিং সংস্থা ফিচ রেটিংস-এর মার্কিন অর্থনীতি গবেষণা প্রধান অলু সোনোলা বলেছেন, এটি শুধু মার্কিন অর্থনীতির জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও একটি বড় পরিবর্তন। অনেক দেশ মন্দার সম্মুখীন হতে পারে।

এই শুল্ক আরোপের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান শেয়ারবাজারগুলো বৃহস্পতিবার সকালে দরপতনের মধ্য দিয়ে দিন শুরু করেছে। মার্কিন শেয়ারবাজারের ফিউচার মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

তবে কানাডা ও মেক্সিকো এই নতুন শুল্কের তালিকায় নেই। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগের নির্বাহী আদেশের কাঠামোর ভিত্তিতে এই দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা করা হবে। ট্রাম্প এর আগে তাদের জন্য ২৫% শুল্ক নির্ধারণ করেছিলেন, তবে পরবর্তীতে কিছু ছাড় ও শুল্ক কার্যকরে কিছু বিলম্ব করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন।

আরও