রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ

ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান চীনের, তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনের

প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন চীনে—এমনটাই জানানো হয়েছে।তবে ঠিক কী কারণে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি ইউক্রেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউক্রেনে ব্যবসা নিষিদ্ধ এবং দেশটিতে তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীনকে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলার একদিন পর শুক্রবার তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউক্রেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেন সরকার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।তবে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলেনস্কির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর রয়টার্স।

নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, বেইজিং এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস শিয়াংহুই টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড, রুই জিন মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেড এবং ঝংফু শেনইং কার্বন ফাইবার জিনিং কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন চীনে—এমনটাই জানানো হয়েছে।তবে ঠিক কী কারণে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি ইউক্রেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউক্রেনে ব্যবসা নিষিদ্ধ এবং দেশটিতে তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে।

অন্যদিকে, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ইউক্রেন সংকটে কোনো পক্ষকে আমরা কখনোই প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করিনি। ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত অবসানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি এবং শান্তি আলোচনাকে উৎসাহিত করছি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ইউক্রেন চীনে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল, যার বেশিরভাগই ছিল কাঁচামাল ও কৃষিপণ্য। আর চীন থেকে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ইউক্রেন, যা প্রধানত শিল্পজাত পণ্য। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়াকে গোলাবারুদ ও গানপাউডার সরবরাহ করছে এবং রাশিয়ার মাটিতেই কিছু অস্ত্র উৎপাদনে জড়িত রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগের পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

আরও