গাজায় মসজিদ ও স্কুলে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ২৬

মধ্য গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি মসজিদ ও স্কুলে ২৬ জন নিহত হয়েছে। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গতকাল ভোরে দেইর আল-বালাহয়ের ইবনে রুশদ স্কুল ও আল-আকসা শহীদ মসজিদে বিমান হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি অন্তত ৯৩ জন আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা যে অংশে হামলা চালিয়েছে সেখানে হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘‌কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল’ কেন্দ্র হিসেবে পরিচালনা করে।

বিবিসির যাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মসজিদের ধ্বংসস্তূপে মরদেহ ও রক্ত পড়ে আছে। স্কুলের ফুটেজে দেখা গেছে, বিদ্যালয় আগুনে জ্বলছে ও একজন ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের বছরপূর্তির একদিন আগে এ হামলার ঘটনা ঘটল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালায় হামাস। এরপর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯৬ হাজারেরও বেশি।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছে।

মসজিদে হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে হামাস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির সম্ভাবনা কমানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়। যার মধ্যে নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার, বিমান নজরদারি ও অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। আইডিএফ হামাসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও জনগণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছে। এদিকে সামরিক উদ্দেশ্যে স্কুল ও অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে হামাস।

গাজার আরেক অংশে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাতারাতি উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া এলাকা ঘিরে ফেলতে শুরু করে। কারণ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে হামাস ওই এলাকা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

আরও