ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি দামেস্কে বলেছেন, ইরান গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি সমর্থন করেন। তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে ইরান যেকোনো আক্রমণের জবাব আনুপাতিকভাবে এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর শক্তি দিয়ে দেবে।
সংবাদমাধ্যম এএপি শনিবার (৫ অক্টোবর) জানায়, সিরিয়ায় একদিনের সফর শেষ করে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'প্রতিরোধের' পাশে দাঁড়াতে ইরানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে উল্লেখ করে বলেন, তার দেশ লেবাননের বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের সমর্থনে সিরিয়ার সঙ্গে তার সহায়তা ও সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
আরাগচি বলেন, আমাদের এজেন্ডায় দুটি জরুরি বিষয় রয়েছে- লেবাননের শরণার্থীদের চাহিদা পূরণ করা এবং গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইরান এরই মধ্যে সিরিয়ায় লেবাননের শরণার্থীদের সাহায্যে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে এবং শিগগির আরো সাহায্য পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে আরাগচি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেকোনো ইসরায়েলি হামলার প্রতি আমাদের জবাব হবে আনুপাতিক এবং প্রয়োজনে আরো শক্তিশালী। আমরা অতীতে এটি প্রমাণ করেছি এবং তাদের আবারো আমাদের সংকল্প পরীক্ষা করতে স্বাগত জানাই।
আরাগচি আরো বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলো বর্তমানে আলোচনাধীন তবে নির্দিষ্ট বিবরণ প্রদান করা থেকে বিরত রয়েছে। তিনি জোর দেন যে যেকোনো যুদ্ধবিরতির শর্ত অবশ্যই ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
সিরিয়ার সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে, আরাগচি দুই দেশের মধ্যে দৃঢ়মূল কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন এবং সিরিয়ার প্রতি ইরানের সমর্থন সব পরিস্থিতিতে অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি জালালির সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ সময় তারা লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক হামলা থেকে পালিয়ে আসা লেবাননের পরিবারগুলোকে মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে সহযোগিতা করার বিষয়ে আলোচনা করেন।