গাজায় নেই ঈদের আনন্দ, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে শোকের ছায়া

গাজার বাজারগুলোতে ঈদের কেনাকাটার কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাবার জোটানোই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষ ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভরশীল।

বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা যখন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, গাজায় তখন চলছে শোকের মাতম চলছে। ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় আজকে নেই কোনো ঈদের আমেজ। খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয়ের কারণে এবারের ঈদও কাটছে শোকের মধ্য দিয়ে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজারো মানুষকে মৃত ধরে নেয়া হচ্ছে।

গাজার বাজারগুলোতে ঈদের কেনাকাটার কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাবার জোটানোই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষ ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভরশীল।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজাবাসী ঈদের দিনও বেঁচে থাকার লড়াই করছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে হাজারো মানুষ।

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণ সহায়তার আহ্বান জানালেও তা পর্যাপ্ত নয়।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার বহু মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানান, সীমিত পরিসরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা খোলা স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলি হামলার মধ্যে ঈদ উদযাপন করছে গাজার মানুষ। ১ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এতে মানবিক সংকট আরো তীব্র হয়েছে।

রমজানের পুরো সময়জুড়ে গাজার মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে। ইসরায়েল খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

গাজার বাসিন্দারা জানান, যুদ্ধ, ক্ষুধা ও শোকের মাঝে ঈদের আনন্দ তাদের কাছে অর্থহীন হয়ে পড়েছে।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী নেতা আব্দুলমালিক বদর আল-দিন আল-হুতি গাজার মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে গঠিত ‘ফিলিস্তিনি কমিশন’ ও ‘ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি’ জানিয়েছে, এবারের ঈদ ও ভূমি দিবস গণহত্যা ও সংগ্রামের মধ্যে পালিত হচ্ছে।

আরও