মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) চারটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা পুরনো কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বন্ধ না করে চালু রাখার অনুমতি দেবে। যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধির (ডেটা সেন্টার, এআই ও ইলেকট্রিক গাড়ির প্রসার) কারণ দেখিয়ে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
হোয়াইট হাউজে খনি শ্রমিকদের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, অনাবশ্যক নিয়ম বাতিল করা হচ্ছে যা আমাদের সুন্দর, পরিষ্কার কয়লার বিরুদ্ধে ছিল। তিনি আরো বলেন, কয়লা খনির লিজ দ্রুত দেয়া, অনুমোদন সহজ করা এবং প্রতিরক্ষা আইনের আওতায় কয়লা খনন বাড়ানো হবে।
চারটি আদেশের সারাংশ হলো—
১। কয়লার বিরুদ্ধে সব সরকারি 'বৈষম্যমূলক' নীতির অবসান।
২। বিদ্যমান কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় বাইডেন সরকারের 'অবাস্তব' পরিবেশনীতি স্থগিত।
৩। বিদ্যুৎ গ্রিডে কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানিকে ‘নিরাপদ উৎস’ হিসেবে সমর্থন।
৪। যেসব রাজ্য কয়লার বিরুদ্ধে ‘বামপন্থী’ নীতি নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে বিচার বিভাগকে নির্দেশ।
পরিবেশবাদীরা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত পরিবেশের জন্য হুমকি এবং ট্রাম্প ‘গতকালের জ্বালানির’ জন্য আজকের গ্রাহককে বেশি মূল্য দিতে বাধ্য করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়লার এই চটকদার প্রত্যাবর্তন দীর্ঘস্থায়ী হবে না, কারণ প্রাকৃতিক গ্যাস ও নবায়নযোগ্য শক্তি (সোলার, উইন্ড) এখন অনেক সস্তা ও টেকসই।
২০২৪ সালের সরকারি পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৯৩ শতাংশই আসবে সৌর, বায়ু ও ব্যাটারি থেকে। একজন বিশ্লেষক ব্যঙ্গ করে বলেন, এভাবে চললে হয়তো ট্রাম্প একদিন বলবেন সবাইকে ঘোড়ার গাড়িতে অফিস যেতে হবে!