গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছয় ও আট বছর বয়সী অন্তত দুই শিশুও রয়েছে। এটি ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর সবচেয়ে বড় হামলা। খবর আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের লেফটেন্যান্ট জেনারেল অ্যালেক্সাস গ্রিনকেভিচ জানিয়েছেন, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বেশ কয়েকজন হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এছাড়া, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে।
মূলত, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। আর এরপরই মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলার নির্দেশ দেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাস বারবার জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই ইসরায়েল এখন থেকে আরো শক্তি নিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
হামলার পরিকল্পনা সপ্তাহান্তে আইডিএফ উপস্থাপন করেছে এবং তা রাজনৈতিক নেতৃত্ব অনুমোদন দেয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ নিয়েছে।
গত ১ মার্চ প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর নতুন সমঝোতার চেষ্টা চলছিল। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়, যেখানে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ইসরায়েল ও হামাস গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হতে পারেনি।
গাজার ২১ লাখ জনগণের অধিকাংশই বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অবকাঠামো ধ্বংস, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট চরমে পৌঁছেছে।