দক্ষিণের সঙ্গে যুক্ত সব রাস্তা বন্ধের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

কোরিয়ান পিপলস আর্মি (কেপিএ) এই উদ্যোগকে ‘যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য একটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে একাধিক উসকানিমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের সম্পর্কও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে শুরু করে শত শত আবর্জনা ভর্তি বেলুন উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে পাঠানো।

দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব সড়ক ও রেলপথ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ সীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ ও অবরুদ্ধ করার মাধ্যমে নিজের অংশের এলাকাগুলোকে আরো সুরক্ষিত করবে উত্তর কোরিয়া। ছবি বিবিসি।

কোরিয়ান পিপলস আর্মি (কেপিএ) এই উদ্যোগকে ‘যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য একটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ায় যুদ্ধ মহড়া এবং ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের ঘন ঘন উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এই ঘোষণা মূলত পিয়ংইয়ংয়ের একটি প্রতীকী পদক্ষেপ। কারণ, উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণে যাতায়াতের সড়ক ও রেলপথ প্রায়ই ব্যবহার করা হয় না, এবং গত বছর উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে সেগুলো ভেঙে ফেলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে একাধিক উসকানিমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের সম্পর্কও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে শুরু করে শত শত আবর্জনা ভর্তি বেলুন উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে পাঠানো।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি আর দক্ষিণের সঙ্গে পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন না। আর এর মাধ্যমেই কোরীয় উপদ্বীপে পুনরায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও