পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই শরণার্থী শিবিরে হামলা, গাজায় শিশুসহ নিহত অন্তত ৭৭

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহতদের মধ্যে ছিল বেইত হানুন, বেইত লাহিয়া ও উত্তর গাজার অন্যান্য স্থান থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুতরা। এই মানুষগুলো কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই নিহত হয়েছেন।

গাজার বিভিন্ন স্থানে বুধবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে জাবালিয়ায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউনএনআরডব্লিউএ পরিচালিত একটি ক্লিনিকে হামলায় ২২ জন প্রাণ হারিয়েছে। খবর আল জাজিরা।

এই হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহতদের মধ্যে ছিল বেইত হানুন, বেইত লাহিয়া ও উত্তর গাজার অন্যান্য স্থান থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুতরা। এই মানুষগুলো কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই নিহত হয়েছেন। কোনো সতর্কতা ছাড়াই তাদের ওপর বোমা বর্ষণ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় স্থল অভিযান আরো সম্প্রসারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনুসের মধ্যে একটি নতুন করিডোর তৈরি করতে চান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা উপেক্ষা করে নেতানিয়াহু হাঙ্গেরি পৌঁছেছেন। যদিও আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা মেনে ইসরায়েলি নেতাকে আটক করার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বানকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।

এদিকে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ও একটি গবেষণা কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়েছে। দামেস্ক এই হামলাকে ‘অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

আরও