দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে আট ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা সীমান্ত শহর মারুন এল রাসের কাছে রকেট দিয়ে তিনটি ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। গত বছর লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর গতকাল বুধবারের (২ অক্টোবর) এই ঘটনাই লেবানন ফ্রন্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি। খবর রয়টার্স।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক শোকবার্তায় বলেছেন, আমরা ইরানের 'অ্যাক্সিস অব ইভিলের’ বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধে লিপ্ত, যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়। তবে আমরা একসঙ্গে দাঁড়াব এবং ঈশ্বরের সহায়তায় আমরা একসঙ্গে জয়ী হব।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরান ইসরায়েলের ওপর ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরদিনই লেবাননের স্থল অভিযানে যোগ দিয়েছে নিয়মিত পদাতিক এবং সাঁজোয়া ইউনিট। এতে তেল-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইরান বুধবার বলেছে, নতুন কোনো উসকানি না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ হয়েছে। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সীমান্তের বেশ কয়েকটি শহরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিহত করেছে এবং ইসরায়েলের ভেতরের সামরিক পোস্টে রকেট নিক্ষেপ করেছে। গোষ্ঠীটির মিডিয়া প্রধান মোহাম্মদ আফিফ বলেছেন, এটা কেবল প্রথম রাউন্ডের লড়াই এবং ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে হিজবুল্লাহর কাছে পর্যাপ্ত যোদ্ধা, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ রয়েছে।
এদিকে, গোলানি ব্রিগেড, ১৮৮তম সাঁজোয়া ব্রিগেড এবং ৬ষ্ঠ পদাতিক ব্রিগেডসহ ৩৬তম ডিভিশনের পদাতিক ও সাঁজোয়া বাহিনীর সংযোজনের মাধ্যমে ইসরায়েল এ অভিযানের আকার বিস্তৃত করতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের অভিযান মূলত সীমান্তে টানেল এবং অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংস করার লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে এবং উত্তরাঞ্চলের লেবাননের রাজধানী বৈরুত বা দক্ষিণের বড় শহরগুলোকে লক্ষ্য করে কোনো বৃহত্তর অভিযানের পরিকল্পনা নেই। তবে তারা দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর প্রায় দুই ডজন শহরের অধিবাসীদের সরে যাওয়ার নতুন নির্দেশ জারি করেছে।