যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি

'শুল্ক বাতিল করুন, নইলে আসবে পাল্টা ব্যবস্থা’

চীনা কর্মকর্তা ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতিকে ‘একতরফা বলপ্রয়োগের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করে উল্লেখ করেছেন যে, বহু দেশ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘তীব্র অসন্তোষ ও স্পষ্ট বিরোধিতা’ প্রকাশ করেছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ তাদের একতরফা শুল্ক ব্যবস্থা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য ‘দৃঢ় পাল্টা ব্যবস্থা’ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিক্রিয়া এসেছে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্লেষকদের ভাষায় শতাব্দীর সবচেয়ে কঠোর শুল্ক বৃদ্ধি ঘোষণা করেছেন। খবর সিএনবিসি।

এক বিবৃতিতে চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ একতরফাভাবে ও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নির্ধারণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মের পরিপন্থী এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

চীনা কর্মকর্তা ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতিকে ‘একতরফা বলপ্রয়োগের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করে উল্লেখ করেছেন যে, বহু দেশ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘তীব্র অসন্তোষ ও স্পষ্ট বিরোধিতা’ প্রকাশ করেছে।

এর আগে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি একটি মন্তব্য প্রকাশ করে এই শুল্ককে ‘আত্মঘাতী দুর্বৃত্তপনা’ বলে অভিহিত করেছে। সংবাদ সংস্থাটি ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বলেছে যে, তিনি বাণিজ্যকে একটি সোজাসাপ্টা প্রতিশোধমূলক খেলায় পরিণত করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সব আমদানি পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প শুল্কের ক্ষেত্রে ১০% বেসলাইন নির্ধারণ করেছেন, অর্থাৎ সর্বনিম্ন শুল্ক হবে ১০ শতাংশ। তবে যেসব দেশকে তার প্রশাসনের দৃষ্টিতে ‘সবচেয়ে খারাপ অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে শুল্কের হার আরো বেশি হবে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর সম্ভবত চীনই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, কারণ চীনা পণ্যের ওপর এরইমধ্যে আরোপিত ২০% শুল্কের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩৪% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

আরও