গাজায় ঈদের আনন্দ নেই, আছে ৩৫ জনের মৃত্যু সংবাদ

রোববার ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা হয় রাফা ও খান ইউনিস শহরে ঘরবাড়ি ও শরণার্থী শিবিরে। এসব হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে।

ইসরায়েল গাজার ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে, এমনকি মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিনেও। রোববার (৩০ মার্চ) এই হামলায় অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের ওপর চাপ বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনা। খবর আল জাজিরা।

রোববার ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা হয় রাফা ও খান ইউনিস শহরে ঘরবাড়ি ও শরণার্থী শিবিরে। এসব হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষে এদিন মুসলমানদের ঈদুল ফিতর উদযাপন করার কথা ছিল, কিন্তু গাজার বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, রোববার আরো ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় তারা নিহত হন। আল জাজিরা নিশ্চিত করেছে যে, এই হামলায় কমপক্ষে পাঁচটি উদ্ধারকারী যান ধ্বংস করা হয়েছে।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি কেবল আমাদের জন্য নয়, বরং পুরো মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং মানবতার জন্য এক চরম দুর্যোগ। সংস্থাটি আরো জানায়, চিকিৎসাকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা নিঃসন্দেহে একটি যুদ্ধাপরাধ।

গাজায় সহিংসতা চলতে থাকায় মানবিক পরিস্থিতিও চরম সংকটে পৌঁছেছে। ইসরায়েল গত মার্চের শুরু থেকে গাজায় খাদ্য সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

ফিলিস্তিনিরা সাধারণত ঈদের দিনে একত্রে বসে আনন্দঘন পরিবেশে ভালো খাবার উপভোগ করে। কিন্তু এখনকার বাস্তবতা ভয়াবহ—তারা কোনো ভালো খাবারই জোগাড় করতে পারছে না। খাদ্যদ্রব্য অপ্রতুল এবং অত্যধিক ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানো অনেকের জন্যই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে, গাজার সাধারণ মানুষ ভুলে গেছে ঈদের আনন্দ, তারা কেবলই চালিয়ে যাচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই।

আরও