যে কারণে এখন পর্যন্ত বার্ড ফ্লুর ঝুঁকিতে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বজুড়ে বার্ড ফ্লুর মারাত্মক প্রভাব দেখা গেলেও অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়া এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়েনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা এবং জীবন্ত পোল্ট্রি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জিলংয়ের সিএসআইআরও অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিপারডনেসের ভাইরোলজিস্ট ফ্র্যাঙ্ক ওং বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ পাখি প্রাকৃতিভাবেই ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ায় বার্ড ফ্লুর ভাইরাস অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারেনি।

অবশ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কখনো অস্ট্রেলিয়ায় বার্ড ফ্লু প্রবেশ করে, তাহলে এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হতে পারে পরিযায়ী পাখিরা। দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দেয়া এসব পাখি, যারা সাইবেরিয়া ও আলাস্কা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসে, তারাই ভাইরাসটি বহন করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা এরই মধ্যে ১ হাজার পরিযায়ী পাখির নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরু করেছেন। তারা H5N1 স্ট্রেনের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন, যা অন্যান্য অঞ্চলে পাখি ও স্তন্যপায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

এছাড়া, হাঁসজাতীয় পাখিগুলোও এই ভাইরাসের সম্ভাব্য বাহক হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, হাঁস নিজেরা সংক্রমিত না হলেও ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম, যা রোগের বিস্তারের সম্ভাবনা বাড়ায়। তবুও, অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়ার বিচ্ছিন্ন বাস্তুতন্ত্র এখন পর্যন্ত ভাইরাসের বিস্তার রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

আরও