গাজা সীমান্তের কাছে থাকতে চায় না ৮৬% ইসরায়েলি

গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ শেষ হলে প্রায় ৮৬ শতাংশ ইসরায়েলি গাজার সঙ্গে সীমান্ত এলাকার বসতিগুলোয় থাকতে ইচ্ছুক নন। রোববার নতুন এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন জরিপটি পরিচালনা করে। এতে ছয় লাখ ইসরায়েলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জরিপে মাত্র ১৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা গাজাসংলগ্ন এলাকায় বসবাস করার কথা বিবেচনা করবেন।

জরিপ অনুসারে, মাত্র ২৭ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন যে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের দেশ জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে ৩৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইসরায়েল হেরেছে। বাকিরা এ বিষয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে।

ক্ষমতাসীন জোটের সমর্থক ও বিরোধী উত্তরদাতাদের মধ্যে মতের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা গেছে। জোটের সমর্থক ৪৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন ইসরায়েল জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে জোটের বিরোধী ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, তাদের দেশ যুদ্ধে হেরেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা এমন কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন কিনা, যিনি যুদ্ধে বা ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত হয়েছেন। ১২ শতাংশ বলেছেন, তারা পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারিয়েছেন এবং ৩৬ শতাংশ বলেছেন, তাদের চেনা অনেকেই মারা গেছেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তাদের নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ। চলমান অবরোধের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসনে অঞ্চলটির অধিকাংশ জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এতে খাদ্য, পরিষ্কার খাবার পানি ও ওষুধের মারাত্মক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে।

আরও