গ্যাস্ট্রোপেরেসিস

দূরবর্তী যাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে

গ্যাস্ট্রোপেরেসিস হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যা আপনার জীবনযাত্রার মানকে নষ্ট করতে পারে। শারীরিক সুস্থতা নষ্ট করতে পারে। শুধু গ্যাস্ট্রোপেরেসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিই প্রভাবিত হন না। তার আশপাশের মানুষজনকেও প্রভাবিত করে। যেমন পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে বা সামাজিক বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।

গ্যাস্ট্রোপেরেসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণত হজমে সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট শক্তি ও দক্ষতা লাগে। চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগীর নিজেকেও তার রোগ সম্পর্কে বিস্তর ধারণা থাকতে হবে। কী তার শরীরের জন্য উপকারী এবং কী খেলে ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে ধারণা থাকতে হবে এবং অনুসন্ধান চালাতে হবে।

নিজের অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। যারা এ রোগে আক্রান্ত তাদের থেকেও পরামর্শ নেয়া উচিত। গ্যাস্ট্রোপেরেসিস পুরোপুরি নির্মূল হয় না। তবে এর কারণ ও উপসর্গগুলো জানা থাকলে জটিলতা কিছুটা হলেও কমানো যায়। এর সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে আক্রান্তদের প্রতি চারজনের একজনের ডায়াবেটিস থাকে।

যাত্রার ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখা জরুরি...

গ্যাস্ট্রোপেরেসিস এমন একটি ব্যাধি যেখানে পেট খুব ধীরে ধীরে খালি হয়, যার ফলে বমি ভাব, বমি, ব্যথা, ফোলা ভাব থাকে। এ অবস্থার জন্য খুব কম কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে, তাই বেশির ভাগ রোগীর লক্ষণগুলো কমানোর জন্য খাদ্যতালিকা এবং জীবনযাত্রার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া কঠিন করে তোলে। সেজন্য রোগীকে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া লাগে।

  • বাইরের খাবার না খাওয়া, ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া
  • মোশন সিকনেস থাকলে বমি বন্ধ হওয়ার ওষুধ সঙ্গে রাখা
  • দৈনন্দিন খাবারের রুটিন অনুসরণ করা, একটু পরপর সুষম খাবার গ্রহণ করা
  • সময় নিয়ে খাওয়া এবং সুযোগ থাকলে খাওয়ার পর হাঁটা

আরও