বাতজ্বর থেকে হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি হার্টের সমস্যা, যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে দীর্ঘমেয়াদি হার্টের সমস্যা হতে পারে। অনেকের আবার হার্টের ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সমস্যার মধ্যে ভালভ সরু হয়ে যায়। ভালভের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, সঠিকভাবে ভালভ বন্ধ হয় না। একেই বলা হয় বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ।
এ কারণে রোগীর শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়, কাশি অথবা কাশির সঙ্গে রক্ত ও পানি জমার কারণে ফুলে যেতে পারে পা। রোগীর কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে, এতে অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠে রোগী। অনেক সময় হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়। হার্টের ভেতর রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের কারণে হার্টের ভেতরের জমাটবাঁধা রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
কারো বাতজ্বর শনাক্ত হলে অবশ্যই তাকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। পেনিসিলিন–জাতীয় ব্যাকটেরিয়ানিরোধী ওষুধ বাতজ্বরের চিকিৎসায় কার্যকর। লক্ষণের তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে ব্যথানাশক ওষুধও ব্যবহার করার দরকার পড়ে। রোগটি যাতে আবার না হয় এবং ভবিষ্যতে বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ না হয়, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধ ব্যবস্থাস্বরূপ পেনিসিলিন–জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হয়। কার কতদিন ওষুধ চলবে, নির্ভর করে রোগী কোন বয়সে বাতজ্বরে ভুগছে, তার ওপর।
এ রোগের চিকিৎসার ধরন নির্ভর করে হার্টের ভালভ কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ওপর। উপসর্গ ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগের তীব্রতা নির্ণয় করতে হয়। একবার বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ হয়ে গেলে সারা জীবনই রোগীকে চিকিৎসা ও ফলোআপের মধ্যে থাকতে হবে। কখনো অপারেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম হার্টের ভালভ প্রতিস্থাপনের দরকার পড়ে। অপারেশনের পরও সারা জীবন ওষুধ খেতে হয়।